নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট রয়েছে। ডব্লিউএইচও/ইউনিসেফ জেএমপির (২০২১) তথ্য মতে, দেশের মোট জনসংখ্যার ৪১ শতাংশ মানুষ নিরাপদে পরিচালিত পানীয় জল পরিষেবা পাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বদরুল হাসান।
তিনি বলেন, কমিউনিটি ম্যানেজমেন্ট প্লাস (সিএম+) মডেল হলো- একটি ব্যবস্থা যেখানে পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ব্যবহারকারীদের এবং সরকারি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বা স্থানীয় এনজিওগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। কিন্তু এটি এখনও অনেকাংশে অজানা যে, কোন পরিস্থিতিতে কমিউনিটি পানীয় জলের ব্যবস্থা টেকসই পরিচালনায় সিএম+ মডেলটি সফল হতে পারে। তাই আমার গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে কমিউনিটি ডিডব্লিউএস পরিচালনার ক্ষেত্রে সিএম+ মডেলটি সফল হওয়ার পূর্বশর্তগুলো অন্বেষণ করা।
ঢাবির একজন অধ্যাপক দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলা খুলনা, বাগেরহাট এবং সাতক্ষীরাতে গবেষণাটি পরিচালনা করেন। কারণ এই অঞ্চলগুলোতে পানীয় জলের ঘাটতি, কমিউনিটি পানীয় জলের ব্যবস্থার উপস্থিতি, এবং ডিডব্লিউএস- পরিচালনায় সাফল্যের তারতম্য রয়েছে। তার এই গবেষণা মডেলটি কয়েকটি পরিস্থিতিতে সফল হতে পারে বলেও মত দেন তিনি।
গবেষক আশা প্রকাশ করে বলেন, তার গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে পানীয় জল ব্যবস্থার টেকসই কার্যকারিতার ফ্যাক্টরগুলো বুঝতে সাহায্য করবে এবং এর ফলে বাংলাদেশে এসডিজি-৬ লক্ষ্য অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ নিশ্চিতকরণ এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অর্জনে অবদান অবদান রাখবে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আইনুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকার নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ফকার দে জ্যাগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকী প্রমুখ।
Discussion about this post