নিজস্ব প্রতিবেদক
গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) থেকে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যোলয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৭ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত। ভর্তি আবেদন শেষে আগামী ৭ নভেম্বর প্রকাশিত হবে প্রথম মেধাতালিকা। এরপরেই শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চয়ন। ভর্তি নিশ্চয়ন শেষে শুরু হবে মাইগ্রেশন। কোন প্রক্রিয়ায় মাইগ্রেশন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভর্তিচ্ছুরা।
তবে ভর্তি কিংবা মাইগ্রেশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা না করার আহবান জানিয়েছে ভর্তি কমিটির সদস্যরা। তারা বলছেন, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া খুবই সাবলীল হবে। প্রথমবার হওয়ায় ভর্তিচ্ছুরা একটু দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
জানা গেছে, আগামী ৭ নভেম্বর ভর্তির মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের পাঁচ হাজার টাকা এবং এসএসসি-এইচএসসির মার্কশিট জমা রাখতে হবে। ভর্তি নিশ্চায়নের পর মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির এক কর্মকর্তা জানান, প্রকাশিত প্রথম মেধাতালিকায় একজন ভর্তিচ্ছু তার নম্বর অনুযায়ী ৩-৪ জায়গায় সাবজেক্ট পাবে। ধরুন সে জগন্নাথ বিশ্ববদ্যিালয়ে আইন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়াসন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি পেল। তখন সে ৫ হাজার টাকা দিয়ে জবির আইন বিভাগে ভর্তি নিশ্চায়ন করলেন। তাহলে সে খুবি আর বেরোবি থেকে বাদ হয়ে যাবেন। এরপর দেখা গেল দ্বিতীয় মেধাতালিকায় ওই ভর্তিচ্ছু শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োকেমিস্ট্রি পেলেন। তখন সে চাইলে যবিপ্রবি থেকে শাবিপ্রবিতে চলে যেতে পারবেন। এতে সে যবিপ্রবি থেকে বাদ হয়ে যাবেন।
মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পর্কে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ধরুন একজন শিক্ষার্থী যবিপ্রবির সিএসই বিভাগে তার ভর্তি নিশ্চয়ন করেছেন। মাইগ্রেশনের পর ওই শিক্ষার্থীর শাবিপ্রবির সিএসই বিভাগ এসেছে। তখন সে চাইলে শাবিপ্রবিতে চলে যেতে পারবে। এক্ষেত্রে যবিপ্রবিতে তার আসন শূন্য ঘোষণা হয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়া অটোমেটিক পদ্ধতিতে হবে। ফলে মাইগ্রেশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা যতটুকু সম্ভব শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে কাজ করার চেষ্টা করছি। তাদের নানা ধরনের সুবিধা দিচ্ছি। মাইগ্রেশন নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এটি খুব সহজেই সম্পন্ন হবে।
Discussion about this post