শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) এই প্রথম অনুষ্ঠিত হচ্ছে গবেষণা ও প্রকাশনা মেলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এ মেলা শনিবার (২২ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মেলার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। একাডেমিয়া ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রকাশনা, গবেষণা ও উদ্ভাবন কার্যক্রম জোরদার করার লক্ষে এ মেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এছাড়াও উপস্থিত আছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
মেলায় ঢাবির শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত প্রকাশনাসহ উল্লেখযোগ্য প্রকাশনাসমূহ প্রদর্শন ও উপস্থাপন করা হবে। মেলায় ৫৫টি গ্রন্থ, ২৬টি বিশেষ জার্নাল, ২১৬টি গবেষণা প্রজেক্ট, ৬২৪টি পোস্টার ও ৮৬টি ফ্লায়ার/ব্রুশিয়ার স্থান পাবে।
উপাচার্য জানান, এ মেলায় অনুষদসমূহের জন্য ১০টি, ইনস্টিটিউটসমূহের জন্য ১টি, প্রকাশনা সংস্থার জন্য ১টি ও গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ১টিসহ মোট ১৩টি প্যাভিলিয়ন আছে। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও সেন্টার অংশগ্রহণ করবে এবং প্রত্যেকের উপস্থাপনা থাকবে। মেলা সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
২৩ অক্টোবর (রোববার) সমাপনী দিনে সকাল ১০টায় জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি এবং চারুকলা অনুষদের পৃথক উপস্থাপনা থাকবে। এছাড়া, সকল ইনস্টিটিউটের পক্ষে ১টি এবং গবেষণা কেন্দ্র/ ব্যুরো’র পক্ষে ১টি উপস্থাপনা থাকবে।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাবি শতবর্ষ উপলক্ষে কবিতা, রচনা ও ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা এবং শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত প্রত্যেক জার্নালের বিশেষ সংখ্যার শ্রেষ্ঠ আর্টিক্যাল লেখককে সনদ, গ্রেস ও প্রাইজ মানি প্রদান করা হবে। এছাড়া, প্রত্যেক অনুষদ, ইনস্টিটিউট এবং সেন্টার কর্তৃক উপস্থাপিত পোস্টার সমূহের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পোস্টার উপস্থাপনকারীকেও পুরস্কার দেওয়া হবে।
গবেষণা মেলায় আগত দর্শনার্থীদের জন্য গাড়ি পার্কিং, অভ্যর্থনা তথ্য অভিযোগ কেন্দ্র, প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধা, অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, খাদ্য ও নিরাপদ পানীয় ব্যবস্থা, ওয়াশ রুম সুবিধা, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানসহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি, রোভার স্কাউট, রেঞ্জার ইউনিট শিক্ষার্থীরা দায়িত্ব পালন করছেন।
Discussion about this post