শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানীর অপসারণসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু করেন। তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হল- শাহরিয়ারের মৃতদেহের পাশে অবস্থানকালে তার সহপাঠীদের উপর নৃশংস হামলা হত্যাচেষ্টা এবং শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং আনসারদের অতি দ্রুত নামিত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের প্রত্যেককেই তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনতে হবে।
জরুরি মুহূর্তে ফর্মালিটিজের নামে সাধারণ মানুষের হয়রানি, চাঁদাবাজি এবং ক্লিনিকগুলোর সঙ্গে যোগসাজশ বন্ধ করতে হবে।
রামেকে বিদ্যমান বাণিজ্যিক সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ডাক্তারদের দেখে ওয়ার্ড বয়দের উপর, ওয়ার্ডবয়দের দোষ ডাক্তারদের উপর চাপিয়ে দেবার সংস্কৃতি আর চলবে না।
এমপি বাদশার অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে। অসংলগ্ন কথাবার্তার কারণে তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের স্বেচ্ছাচারিতা, রোগী এবং রোগীর অভিভাবকদের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, অভিযোগ জানাতে গেলে অভিভাবকদের উপর অস্ত্রোপচার সামগ্রী দিয়ে আক্রমণের বদভ্যাস পরিহার করতে হবে। সর্বোপরি মানবিক ও আন্তরিক হতে হবে।
জরুরি বিভাগে সিনিয়র ডাক্তারদের উপস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ডাক্তারদের দায়িত্ব চলাকালীন নার্স/ওয়ার্ড বয় দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানো চলবে না। আইসিইউ ব্যবস্থা সহজ করতে হবে। ডিসি এবং প্রক্টরের সিগনেচারের নামে টালবাহানা করে। যে কালক্ষেপণ করা হল তা দ্বিতীয় কারও সাথে করা হবে না, এই নিশ্চয়তা দিতে হবে।
অনতিবিলম্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে হবে।
রামেকের ডাক্তার-নার্সরা মনগড়া, বানোয়াট, কাল্পনিক, অসভ্য যে ঘটনা সাজিয়েছেন তার চিত্র প্রকাশ করে সবাইকে প্রকৃত সত্য ঘটনা জানার সুযোগ করে দিতে হবে।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, অবহেলার কারণে আর কোনো শাহরিয়ারকে হারাতে চাই না। আর কোনো ভাইকে আমরা অকালে চলে যেতে দিতে পারি না। কোনো বাবার স্বপ্ন ভেঙে যেতে দিতে পারি না।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে রাবির হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় সহপাঠী মারা গেছেন এমন অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
Discussion about this post