শিক্ষার আলো ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘পরিষেবার নিয়ম, আবেদন এবং আর্থিক অফিস ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিন থেকেই আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা।
গবেষণা এবং শিক্ষার মান বাড়ানোর মাধ্যমেই আমরা এই লক্ষ্যটি পরিপূর্ণ করতে চাই। আর তার জন্য প্রয়োজন একদল দক্ষ এবং লিজেন্ডারি প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এফ. এম. আবদুল মঈন। এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এবং অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার নাজমা আশরাফি। কো-অর্ডিনেটর ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ড. গোলাম মোর্তুজা তালুকদার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, একজন মানুষ অসৎ হলে, অনিয়ম করলে তাকে তো কিছু বলা যায় না। যারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী তাদের মধ্যেও অনেকে অনিয়ম করে। আবার কর্মকর্তাদের অধীনস্থদের অনেকে অসৎ, অনিয়ম করে। আমি তাদের সাবধান করে দেই। প্রকৃতপক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কাজ হল আইনের সঠিক প্রয়োগ করা।
তিনি আরো বলেন, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর জায়গা অধিগ্রহণ করতে গিয়ে মোজা পুণ:নির্ধারণ করেছি। সেখানে প্রায় দুইশত কোটি টাকা কমিয়েছি। আমরা কি অনিয়ম করে কমিয়েছি? আমরা আইনের সঠিক প্রয়োগ করেছি। আইনের মধ্যে কিছু কিছু গ্যাপ রয়েছে, সেগুলো আমরা সমন্বয় করেছি। তারাও আইন দেখেছে। আমরা জানি আপনাদের শিক্ষকদের অনেকের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ আছে। অনেকে বুঝে আবার অনেকে না বুঝে বিনিয়োগ করেছেন। আমার কাছে সব তথ্য আসে। আমরা জায়গা অধিগ্রহণে জায়গার মূল মালিককে যুক্ত করেছি।
Discussion about this post