নিজস্ব প্রতিবেদক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানকে প্রক্টর হিসেবে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১ বছর এ পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার ( ৬ নভেম্বর )বিকেলে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিন্ডিকেটের ঐ সভা রোববার সন্ধ্যায় শেষ হয়।
এর আগে, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর সহকারী প্রক্টর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে দায়িত্ব পান আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান। এরপর ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। প্রক্টরের পদে দীর্ঘ প্রায় চার বছর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব পেলেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে অস্থায়ী বা ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়েই চলে আসছিল। প্রশাসনিক কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গতকালের সিন্ডিকেট সভায় প্রক্টর পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হলো। আমরা পর্যায়ক্রমে বাকি পদগুলোতেও স্থায়ীভাবে নিয়োগদান করবো।
এ বিষয়ে নবনিযুক্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, প্রায় ৪ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করেছি। তবে কখনো মনে হয়নি স্থায়ী নাকি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি। আমার সবসময় একটা বিষয়ই মনে হয়েছে যে, ক্যাম্পাসে সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার মূল দায়িত্ব। আগামী দিনেও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। সুবিবেচনায় রাখার জন্য উপাচার্য মহোদয়সহ সিন্ডিকেট সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে গতকালের সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন আয়োজনের জন্য ৭৯ সদস্যবিশিষ্ট ব্যবস্থাপনা কমিটিও অনুমোদন করা হয়েছে। এ কমিটি সমাবর্তন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করবে। কমিটিতে নতুন করে কয়েকজনকে যুক্তও করেছে সিন্ডিকেট।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ষষ্ঠ সমাবর্তন আয়োজনের জন্য এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি যে তারিখ নির্ধারণ করবেন, সেদিনই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে। সিন্ডিকেট সভায় ব্যবস্থাপনা কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। এটি পুরো প্রক্রিয়ার অগ্রগতির অংশ। অনুমিত সময়েই সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।
Discussion about this post