শিক্ষার আলো ডেস্ক
প্রথমবারের মতো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মেধাবী ও অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ‘ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ’ দেওয়া হয়েছে। ১৯টি বিভাগের ২৩৭ জন শিক্ষার্থীকে এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
আজ বুধবার (১৬ নভেম্বর) ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষার্থীদের হাতে ৮ হাজার ৫০০ টাকার চেক হস্তান্তর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।
ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খলিল আহাম্মদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য ড. আবদুল মঈন বলেন, এই বৃত্তি অর্জনের পিছনে রয়েছে তোমাদের কঠোর পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং সর্বোপরি সবচেয়ে বড় যেটা কাজ করেছে সেটা হচ্ছে অধ্যবসায়। এই অসাধারণ স্বীকৃতির জন্য তোমাদের সবাইকে অভিনন্দন। আজকের এই বৃত্তি প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে তোমাদের পড়াশোনার প্রতি আরো বেশি মনোযোগী করা। আমি মনে করি, এই স্বীকৃতি তোমাদের আরো অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
উপ-উপাচার্য ড. হুমায়ুন কবির বলেন, এই সামান্য অর্থ তাদের নতুন প্রেরণার যোগান দিবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবুও প্রশাসনের স্কলারশিপের এই কালচার শুরুর মাধ্যমে শিক্ষা ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে উদ্বুদ্ধ করছে। এই অর্থ শিক্ষার্থীদের আর্থিক তেমন কোনো উপকার হয়তো করতে পারবে না। তবে এটি স্বাক্ষর বহন করবে তারা মেধাবী।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের ভালো ফলাফল অর্জন করা ১৬১ জনকে এবং অসচ্ছল ৭৬ জন শিক্ষার্থীকে চেক হস্তান্তর করা হয়। ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি এসোরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশিদুল ইসলাম শেখের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী ড. সফিকুল ইসলাম, বিএনসিসির কমান্ডোর মো. কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আশফাকুজ্জামান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post