নিজস্ব প্রতিবেদক
একটি মহল প্রাথমিক শিক্ষার বার্ষিক মূল্যায়ন নিয়ে অপ্রপাচার চালাচ্ছে। মূল্যায়ন পদ্ধতি সংক্রান্ত ভুয়া নির্দেশনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে এই অপ্রপ্রচার চালায়। ভুয়া নির্দেশনা বুঝতে না পেরে মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে কিছু গণমাধ্যম।
গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (২১ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এ সংক্রান্ত কোনও নির্দেশনা এখনও দেয়নি। গণমাধ্যমে এ ধরনের সংবাদ প্রচারের আগে তথ্য যাচাই করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক মূল্যায়ন পদ্ধতির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে, তা সঠিক নয়। অধিদফতর মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে— এখনও পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে কোনও নিদের্শনা দেওয়া হয়নি।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নামে যে নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে, তা ভুয়া বলে জানায় মন্ত্রণালয়। ভুয়া নির্দেশনার একাংশে বলা হয়, ‘মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পদের জন্য শিক্ষার্থী অভিভাবকদের কাছ থেকে কোনও মূল্যায়ন ফি গ্রহণ করা যাবে না।’
‘বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের বোর্ডে প্রশ্নপত্র লিখে মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। কোনও শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অধিক হলে সেক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র হাতে লিখে ফটোকপি করা যেতে পারে। প্রশ্নপত্র ফটোকপির প্রয়োজন হলে বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খাত থেকে ব্যয় করা যাবে।’
‘চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাদা কাগজ বাড়ি থেকে নিয়ে আসার জন্য পূর্বেই শিক্ষার্থীকে অবহিত করতে হবে।’
মন্ত্রণালয় জানায়, এ ধরনের কোনও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
Discussion about this post