নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের ভর্তির আবেদন জমা দিতে পারবেন। আর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির প্রধান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
তিনি জানিয়েছেন, এবার ভর্তির আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ৮ ডিসেম্বর থেকে। চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এবারও একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। অনলাইনে হবে ভর্তির কাজটি। শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট এবং xiclassadmission.gov.bd এ ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
তপন কুমার জানান, আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে এবং একাদশের শিক্ষার্থীদের আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে। গত বছরের মতো এ বছরও করোনা পরিস্থিতির কারণে একাদশে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরুর সময় পরিবর্তন হচ্ছে। সাধারণত ১ জুলাই থেকে এইচএসসি ও সমমানের কোর্সের নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, অনলাইনে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পছন্দক্রম দিয়ে আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। শিক্ষার্থীদের ভর্তি করতে সব কলেজকে অনলাইন প্রক্রিয়া মানতে হবে। ম্যানুয়ালি তালিকাভুক্ত করার সুযোগ বা অনুমোদন থাকবে না বলেও জানান তিনি।
শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা, আংশিকভাবে এমপিও সুবিধা পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বাংলা ভার্সন) সর্বোচ্চ সাত হাজার ৫০০ টাকা, ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় (ইংরেজি ভার্সন) সর্বোচ্চ আট হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণের অনুমতি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে উপজেলা পর্যায়ে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সর্বোচ্চ ফি এক হাজার টাকা, জেলা সদরের জন্য দুই হাজার টাকা এবং অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিনি হাজার টাকা রাখতে পারবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। আর উপজেলা পর্যায়ে আংশিকভাবে এমপিও সুবিধাপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দুই হাজার পাঁচশো টাকা, জেলা সদরের জন্য তিন হাজার টাকা ও অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় পাঁচ হাজার টাকা ফি রাখা যাবে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে।
এ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি যে পদ্ধতিতে হয়, এ বছরও সে পদ্ধতিতেই হবে। সেখানে কোনো ব্যত্যয় হবে না। আর ভর্তিতে আসন সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, যত শিক্ষার্থী পাস করে, তার চেয়ে আসনসংখ্যা অনেক বেশি আছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন। বিপুল এই শিক্ষার্থীরা এখন উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির অপেক্ষায় আছে।
Discussion about this post