নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এ বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে ‘ইলেকট্রিক্যাল সার্জ’ শিরোনামে ‘ইইই ডে-২০২২’ উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উৎসবের প্রথমদিনেই ইইই বিভাগের সামনে থেকে এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইএমই ভবন থেকে পুরকৌশল ভবন হয়ে কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন অতিথিবৃন্দসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন,, “অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গবেষণার দিকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে চুয়েট। চুয়েটে এখন স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণায় এগিয়ে আসলে আমরা সরকার কর্তৃক গবেষণা বৃত্তির আবেদনও করতে পারি এবং সর্বোচ্চ চেষ্টায় আমরা গবেষণা বৃত্তি প্রদান করতে পারি। বর্তমান বিশ্বে প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে দেশকে বিশ্বের দরবারে আরো এগিয়ে নিবে চুয়েট”।
বিগত বছরে করোনা এবং একাডেমিক নানা জটিলতায় ২০১৮ সালের পর এমন আয়োজন দেখলো তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এবারের আয়োজক সমাপনী ব্যাচ ও ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। `ইইই দিবস: ইলেক্ট্রিক্যাল সার্জ – ২০২২’ নামে এ আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী বিভাগের শিক্ষকরা। আগামী ৯ ও ১০ ডিসেম্বর ফুটবল ম্যাচ, সার্কিট সমাধান প্রতিযোগিতা, কুইজ, বিষয়ভিত্তিক সমস্যা সমাধান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শর্ট পিচ টুর্নামেন্ট সহ নানা আয়োজনে এবারের আয়োজনের পর্দা নামবে।
আয়োজনকে ঘিরে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনার পাশাপাশি আয়োজন সম্পন্ন করতে শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের থেকে ৬১ সদস্যের একটি কার্যকরী কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও গত ৪ ডিসেম্বর ইইই বিভাগের শিক্ষকদের নিয়েও ৩০ সদস্যের উপদেষ্টা ও উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছিল আয়োজনকে সম্পন্ন করতে।
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রুবাইয়াৎ তানভীর হোসাইন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পর ইইই দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছি। আগে প্রতিবছর এই দিনটি উদযাপন করা হলেও করোনা লক-ডাউন সহ বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে গত কয়েকবছর আমরা দিনটি উদযাপন করতে পারিনি৷ কিন্তু এবছর বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দিনটি পুনরায় উদযাপনের সুযোগ পেয়েছি। প্রতিবছর এমন আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানান তিনি।
Discussion about this post