নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে ৪৫তম বিসিএসের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। গত ৩০ নভেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ওয়েবসাইটে সার্কুলার প্রকাশ করা হয়।
৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে মোট দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার নেওয়া হবে। নন-ক্যাডারে দেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জনকে। ক্যাডার পদের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পিএসসি। ক্যাডার পদে যেমন পছন্দ নির্দিষ্ট করে দেওয়া যায়, তেমনই নন-ক্যাডার পদেও পছন্দের তালিকা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন প্রার্থীরা।
নন-ক্যাডারের এক হাজার ২২ পদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক পদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের জন্য রাখা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, এ বিসিএসে ৪৫৭ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদের গ্রেড রাখা হয়েছে ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত)। প্রশিক্ষণবিহীনদের রাখা হেয়েছে ১২তম গ্রেডে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে আগামী বছরের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সাধারণত শুক্রবার এ পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। সে অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১০ মার্চ (শুক্রবার) হতে পারে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।
৪৫তম বিসিএসে ২ হাজার ৩০৯ জন ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায়। সহকারী এবং ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে ৫৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ পাবেন ৪৩৭ জন। এছাড়া পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, প্রশাসনে ২৭৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আবেদনের ফি ৭০০ টাকা। তবে কোটাধারীদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০০ টাকা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে এবং প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর ও ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুলের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ নম্বর করে কাটা যাবে।
চলতি বছরের ২৭ মে ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬০ প্রার্থী অংশ নেন। ২২ জুন বিকেলে ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১৫ হাজার ৭০৮ প্রার্থী পাস করেন। এই প্রার্থীরা এখন লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তির বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
Discussion about this post