শিক্ষার আলো ডেস্ক
বাংলালিংক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অফ বিসনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবি্এ) প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলালিংক-এর অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের কাছে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তরুণদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে পরিচালিত বাংলালিংক-এর বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও
আইবিএ জাবি-এর অধ্যাপক ও পরিচালক ড. কে. এম. জাহিদুল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট লিড স্পেশালিস্ট এশানি সাধুখান, আইবিএ জাবি-এর সহযোগী অধ্যাপক শাহরিয়ার কবির ও আইবিএ জাবি-এর সহকারী অধ্যাপক পলাশ সাহা ও বাংলালিংক-এর অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এই চুক্তির আওতায় আইবিএ জাবি-এর শিক্ষার্থীরা বাংলালিংক-এর লার্ন ফ্রম দ্য লিডারস, লার্ন ফ্রম
দ্য স্টার্টআপস, ক্যাম্পাস টু কর্পোরেট, ক্যারিয়ার বুটক্যাম্প, ক্লাব কোলাবোরেশন, অন স্পট
ইন্টার্নশিপ অ্যান্ড জব অ্যাসেসমেন্ট, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিসটেন্ট প্রোগ্রাম, অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ
প্রোগ্রাম, ক্যাম্পাস অ্যামব্যাসেডর প্রোগ্রাম, ওমেনটর এবং ইনোভেটর্সসহ তরুণদের ক্ষমতায়নের
লক্ষ্যে পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। এছাড়াও তাদের পাঠ্যক্রমে
বাংলালিংক-এর বিভিন্ন কেইস স্টাডি অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন,
“আমরা দেশের মেধাবী তরুণদের ক্ষমতায়ন করতে আগ্রহী যাতে তারা ভবিষ্যতে দেশকে নেতৃত্ব দিতে
পারে। আইবিএ জাবি-এর গ্রাজুয়েটরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে পেশাদার হিসেবে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ
করেছে। এই প্রোগ্রামে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে আরও আত্মবিশ্বাসী, মনোযোগী ও
দক্ষ পেশাদার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।”
আইবিএ জাবি-এর অধ্যাপক ও পরিচালক ড. কে. এম. জাহিদুল ইসলাম বলেন,“আমরা শিক্ষার্থীদেরকে
আধুনিক বিশ্বে প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে গড়ে ওঠার জন্য সুযোগ দিয়ে থাকি। বাংলালিংক-এর স্কিল
ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষা্র্থীরা উপকৃত হবে। এই প্রোগ্রামে যুক্ত হতে পেরে আমরা
বাংলালিংক-এর কাছে কৃতজ্ঞ।”
বাংলালিংক এই ধরনের কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্পখাত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনে
ভূমিকা পালন করে যাবে।
Discussion about this post