শিক্ষার আলো ডেস্ক
আগামী এক মাসের জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস এবং ছাত্রাবাস ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট। এর আগে বুধবার রাতে প্রায় ৫০ পুলিশ সদস্যের সহায়তায় চারুকলার তালা ভেঙে ইনস্টিটিউটের ভেতরে প্রবেশ করে প্রক্টরিয়াল বডি।
এরপর ইনস্টিটিউটের ভেতরে অবস্থিত শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের প্রতিটি কক্ষ ও শিক্ষক ক্লাবে তল্লাশি চালান। মূলত ক্লাসে ফেরা নিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের কারণে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা এবং বহিরাগতদের উচ্ছেদের উদ্দেশ্যে এই অভিযান চালানো হয় বলে জানা যায়।
অভিযান চলাকালে রাতে ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রীকে আটক করা হয়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ক্লাসে ফেরা নিয়ে ছাত্রদের দুই গ্রুপ পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে। তাই যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এড়াতে এবং বহিরাগত আছে কি না, তা দেখতে আমরা রাতে চারুকলায় অভিযান চালিয়ে ছিলাম। এ সময় ছাত্রদের হোস্টেলের একটি কক্ষে অবস্থানরত এক ছাত্রীকে আটক করি। নিয়মানুযায়ী হোস্টেল ওয়ার্ডে অনুমতি ছাড়া রাতে কিংবা দিনে কোনো সময়ই ছাত্রীরা ছাত্রদের হোস্টেলে প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু ওই ছাত্রী কোনো অনুমতি না নিয়ে অবস্থান করায় তাকে আটক করা হয়। এ ছাড়া অপর আরেকটি কক্ষে কিছু মাদকদ্রব্যও পাওয়া যায়।
তাই সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী এক মাস বন্ধ থাকবে ইনস্টিটিউট। এ সময় অনলাইনে ক্লাস নেবেন শিক্ষকরা। এই এক মাস ইন্সটিটিউটের সংস্কার কাজও চলবে পাশাপাশি। আজ রাত ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের চারুকলা ক্যাম্পাস ত্যাগের নির্দেশনাও দিয়েছে সিন্ডিকেট কমিটি।
উল্লেখ্য, শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে ইট-সিমেন্ট খসে পড়ায় গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে ক্লাস বর্জন শুরু করে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। পরে তারা ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়াসহ ২২ দফা দাবিতেও আন্দোলনে নামে।গত ২৩ জানুয়ারি থেকে আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরতে রাজি হওয়ার পর কয়েকদিন শিক্ষার্থীদের ক্লাস হয় খোলা প্রাঙ্গণে।এরপর মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা আবারও মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মূল ফটকে তালা দিয়ে ক্লাস বর্জন ও আন্দোলন শুরু করে।
Discussion about this post