নিজস্ব প্রতিবেদক
চোখ, নাক ও মুখ দিয়ে করোনা জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে সারাবিশ্বের চিকিৎসকরা ফেসই শিল্ড ব্যবহার করলেও বাংলাদেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখে তেমন একটা দেখা মিলছে না। ফলে পিপিই, মাস্ক পরার পরেও ঝুঁকিতে রয়েছেন করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। বাজারে খুঁজে না পাওয়া এই ফেইস শিল্ড তৈরি হচ্ছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাব ল্যাবে। শেকৃবি ফ্যাব ল্যাবের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম সোলাইমানের নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে গবেষক এনামুল আরেফিন এই ফেইস শিল্ড তৈরি করছেন।
ফ্যাব ল্যাব সূত্রে জানা যায়, উৎপাদন খরচেই ফেইস শিল্ডগুলো বিক্রি হচ্ছে। মান অনুযায়ী এদের দাম পড়ছে ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা।
এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের প্রায় ১০০ জন চিকিৎসক ল্যাব থেকে ফেইস শিল্ড নিয়েছেন। ব্র্যাক সোশ্যাল ইনোভেশন ল্যাবের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে ব্র্যাক ২ হাজার ফেইস শিল্ড নেবে। শীঘ্রই তাদেরকে ১ হাজার ফেইস শিল্ড সরবরাহ করা হবে।
গবেষক এনামুল আরেফিন ইত্তেফাককে বলেন, ‘সামনে থেকে সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপিই এর অন্যতম অংশ ফেইস শিল্ড। রোগী বা এখনো শনাক্ত হয়নি এমন ব্যক্তিদের হাঁচি ও কাশি থেকে জীবাণুর সংক্রমণ এড়াতে সামনের সারির স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ষা করার জন্য ফেইস শিল্ড গুলোর ডিজাইন করা হয়েছে। আমাদের দেশে চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত ফেইস শিল্ড নেই। তাই দেশের চিকিৎসাক্ষেত্রকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা কাজ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জরুরী পরিষেবা সরবরাহকারীদের করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ব্যবহারের পরে, মুখ এবং গগলগুলির মধ্যে কিছু অংশ উন্মুক্ত থাকে, যেখানে জীবাণু প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। ফেস শিল্ড গুলো সেই অংশগুলি নিরাপদে রাখতে সহায়তা করবে।’
ফ্যাব ল্যাবের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. এ এইচ এম সোলাইমান বলেন, ‘দেশে মোট আটটি ফ্যাব ল্যাব রয়েছে। শেকৃবি ফ্যাব ল্যাবে থ্রিডি প্রিন্টার, লেজার কাটার, সিএনসি রাউটার, ভিনিয়াল প্লটটার এবং পিসিবি মিলিং মেশিন রয়েছে। ফেইস শিল্ড তৈরির কাজ চলমান। ফেইস শিল্ড স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণের হার কমাবে। এরপরে আমরা ভেন্টিলেটর নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি।’
Discussion about this post