শিক্ষার আলো ডেস্ক
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্রদের জন্য বিশেষ অনুদান খাতে বরাদ্দ রাখা সাত কোটি টাকা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অর্থ বিতরণের জন্য ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’কে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের পরিচালন ও বাজেট শাখার যুগ্মসচিব মো. আখতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত পরিচালন বাজেটে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্রদের জন্য বিশেষ অনুদান খাতে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে আর্থিক অনুদান বাবদ অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নামের পাশে বর্ণিত হারে ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ লিমিটেড’-কে এ বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সংযুক্ত বর্ণনা অনুযায়ী নিম্নোক্ত শর্তে বিতরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
বন্টন হার নিচে দেয়া হলো-
মনোনীত প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা করে ৪২০টি প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি পাঁচ লাখ টাকা।
মনোনীত শিক্ষক-কর্মচারী ক্যাটাগরিতে প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীকে ১০ হাজার টাকা করে ৭০০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে মোট ৭০ লাখ টাকা।
মনোনীত ইবতেদায়ী (১ম থেকে ৫ম) পর্যন্ত ১৭৫০ জন শিক্ষার্থীকে তিন হাজার টাকা করে মোট ৫২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
মনোনীত ৬ষ্ঠ হতে ১০ম দাখিল ও ভোকেশনাল পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
মনোনীত এইচএসসি (বিএম) আলিম ও ডিপ্লোমা পর্যন্ত ১৭৫০ শিক্ষার্থীকে ৬ হাজার টাকা করে ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
মনোনীত কামিল, ফাজিলসহ তদূর্ধ্ব শ্রেণি পর্যন্ত ৭৫০ জনকে ৭ হাজার টাকা করে মোট ৫২ লাখ টাকা।
অর্থ বণ্টনে নগদকে দেওয়া শর্তগুলো –
চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ লিমিটেড’ এর পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নগদ লিমিটেড, মনোনীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নামের পাশে বর্ণিত হারে অর্থ বিতরণ করবেন এবং বিতরণ শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগে দাখিল করবেন।
কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের নাম যদি দুই বার মঞ্জুর হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একটি মঞ্জুরির বিপরীতে মঞ্জুরীকৃত টাকা ছাড় করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ মনোনীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরে প্রদান করবেন।
Discussion about this post