শিক্ষার আলো ডেস্ক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের ১১ জন শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জন করায় ‘এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন গোল্ড মেডেল’ পেয়েছেন ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণ পদক তুলে দেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণিত বিভাগ প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রশীদ এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর চক্রবর্তী।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ বদিউজ্জামান ফারুক, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার ও এ এফ এম মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি মো. নুরুল আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল সব জায়গায় গণিত প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখের বিষয় গণিত এখন সব জায়গায় অবহেলিত। গণিত পড়লে সব জায়গায় ভালো করা যায় সেটা প্রমাণিত। দেশের অনেক গুণীজনও গণিতে শিক্ষা নিয়েছেন, গণিত চর্চা করে গবেষণা করেছেন। তাই আমি মনে করি, গণিতকে ভালোবাসলে, গণিত আমাদের উপকারে আসবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের সময়গুলোতে সেরাদের সেরা শিক্ষার্থীরা গণিত নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমান সময়ে গণিতের প্রতি সবার অনীহা, অবহেলা, তবে সেটা আমাদের কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন। বর্তমানে বিজ্ঞানের দিকে শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কমতি নেই। তাই গণিতের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আমাদের সেভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ এফ মুজিবুর রহমান ট্রাস্টি বোর্ড শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যে সহযোগিতা করছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আশা করি এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে গোল্ড মেডেলপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান উপাচার্য।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. চন্দ্রানী নাগ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, প্রক্টর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্নাতকোত্তরে (২০১৬) পেয়েছেন উম্মে তাহেরা, স্নাতক (২০১৭) ও স্নাতকোত্তর থিসিসে (২০১৯) পেয়েছেন শিফা বেগম, স্নাতকোত্তর থিসিসে (২০১৭) রিনা পাল, স্নাতকোত্তরে (২০১৭) মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ ভূঁইয়া, স্নাতক (২০১৮) ও স্নাতকোত্তরে (২০২০) সৈয়দ ইমাম মাহদী, স্নাতকোত্তর থিসিসে (২০১৮) ফাহমিদা আফরোজ, স্নাতকোত্তরে (২০১৮) রুমা আক্তার, স্নাতক (২০১৯) এবং স্নাতকোত্তর থিসিসে (২০২১) নাসরিন আক্তার তানিয়া, স্নাতকোত্তরে (২০১৯) মোহাম্মদ নোমান, স্নাতকে (২০২০) মো. এবাদুর রহমান ও স্নাতকোত্তরে (২০২০) পেয়েছেন মো. শহিদুল ইসলাম।
Discussion about this post