শিক্ষার আলো ডেস্ক
২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আজ (২৯ আগষ্ট) মঙ্গলবার থেকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচিতদের ভর্তি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মুজতাহিদ মুহাম্মদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
অপেক্ষমাণ তালিকা দেখতে ক্লিক করুন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস কোর্সে বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের শুন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে মেধা ও পছন্দের ভিত্তিতে কলেজ ভিত্তিক স্ব অর্থায়নে ভর্তিচ্ছু দেশী শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের অধ্যক্ষগণ ২৯ আগস্ট হতে ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অবশ্যই বর্ণিত কলেজ ভিত্তিক তালিকা অনুযায়ী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তির সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় দলিলাদিসমূহঃ
(ক) ২০২২-২০২৩ খ্রি. শিক্ষাবর্ষ এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র
(খ) শিক্ষার্থীর বর্ণিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্টের কপি
(গ) এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট/নম্বরপত্র
(ঘ) এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র/প্রশংসা পত্র
(ঙ) এ লেভেল/ও লেভেল মাধ্যমে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত নম্বর সমতাকরণ পত্র
(চ) নাগরিকত্বের সনদপত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি
(ছ) চার কপি সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত রঙ্গিন ছবি
এতে বলা হয়, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের দপ্তরে যোগাযোগ করে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত স্থানীয় ভর্তি কমিটি নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদনপত্রের সাথে দাখিলকৃত সকল মূল সনদপত্রসমূহ যাচাই পূর্বক অবশ্যই জমা রাখবেন। মুক্তিযোদ্ধা সনদের ক্ষেত্রে সনদ যাচাইপূর্বক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি গ্রহন করে মুল কপি শিক্ষার্থীকে ফেরত প্রদান করতে হবে। সংশ্লিষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড ভর্তির পূর্বে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। বর্ণিত নিয়মাবলী সম্পাদনের পর যোগ্য প্রার্থীদেরকে সাময়িকভাবে ভর্তি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বপক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী প্রার্থীদের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্মারক ৪৮,০০,০০০০.০০৩,২৫.০১৯,২০,৮৭৫ তারিখ ১৮/১০/২০২০ খ্রি. মূলে প্রকাশিত পরিপত্র এবং সরকার কর্তৃক জারিকৃত বিধি বিধান অনুসরণ করা হবে।
ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পূরণ করা আবেদন ফরমে প্রদত্ত ছবি ও প্রবেশ পত্রের ছবি একই রূপ হতে হবে। অনলাইন আবেদনপত্রে উল্লিখিত তথ্যাদির স্বপক্ষে পরিক্ষার্থী কর্তৃক প্রমাণক প্রদানে ব্যর্থ হলে বা প্রদানকৃত তথ্য অসত্য বলে প্রতীয়মান হলে যে কোন সময় তার ভর্তি বাতিল করা হবে; এছাড়া ভর্তি পরবর্তী সময়ে যদি কোনো শিক্ষার্থীর দাখিলকৃত দলিলাদির মধ্যে ভুলত্রুটি পরিলক্ষিত হয়, তবে তার ভর্তি বাতিল হবে এবং উভয় ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করতে হবে।
ভর্তির ক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই কোনো শিক্ষার্থী হতে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের চিকিৎসা শিক্ষা-২ শাখার ১৬/০২/২০২৩ খ্রি. তারিখের ৭৫ নং স্মারক প্রযোজ্য হবে।
ভর্তির পর প্রত্যেক কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর এসএসসি, এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্র সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করবেন।
O Level এবং A Level মাধ্যম হতে পাশকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক স্বাক্ষরিত মূল নম্বরপত্র ও সনদপত্র / প্রশংসাপত্র অবশ্যই নিরীক্ষান্তে জমা রাখতে হবে।
ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা বেসরকারি মেডিকেল কলেজ কর্তৃক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের স্টুডেন্ট ওয়েবপোর্টালে ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
ভর্তির পর কোন শিক্ষার্থী কলেজে পড়তে অনিচ্ছুক হলে সেই শিক্ষার্থী এবং তার অভিভাবক অধ্যক্ষের নিকট লিখিতভাবে ভর্তি বাতিলের আবেদন করে মূল সার্টিফিকেট/নম্বরপত্র ফেরত নিতে পারবেন।
অপেক্ষমাণ থেকে নির্বাচিত কলেজ ভিত্তিক শিক্ষার্থীগণের নামের তালিকা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dgme.gov.bd ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট www.dghs.gov.bd হতে জানা যাবে। সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদেরকে টেলিটকের 01550155555 নম্বর থেকে SMS এর মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হবে।
যে কোনো বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
Discussion about this post