শিক্ষার আলো ডেস্ক
স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী কমিয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণায় মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক তথা সম্মান ডিগ্রিকে টার্মিনাল ডিগ্রি হিসেবে গণ্য করা উচিত। একইসঙ্গে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা কমিয়ে গবেষণায় বেশি নজর দিতে হবে। না হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে যাবে।’ প্রকৌশল শিক্ষায় স্নাতক পর্যায়ে ৪০ জন এবং সামাজিব বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির পরামর্শ দেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
প্রয়োজনে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বৃত্তির অর্থের পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে একজন শিক্ষার্থী বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারে। এছাড়া স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য ঋণের ব্যবস্থাও করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থী ও বিভাগের সংখ্যা দিয়ে কোনও বিশ্ববদ্যিালয়ের গুণগতমান পরিমাপ করা যায় না। সংখ্যা না বাড়িয়ে কীভাবে শিক্ষা ও গবেষণায় মান অর্জন করা যায় সেদিকে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে।’
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যথাসময়ে এবং সঠিব নিয়মে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ, কুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. সোবহান মিয়া।
সভায় ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হবে। প্রকৌশল শিক্ষায় শীর্ষ স্থান অর্জন করতে হবে কুয়েটকে।’
Discussion about this post