এম, সারওয়ার
ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এই নামটি এখন বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।কারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে ক্যামব্রিয়ান কলেজ ২০০৪ সালে যাত্রা শুরু করে। বেসরকারি পর্যায়ে হলেও এদেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ক্যামব্রিয়ান। শুধুমাত্র উন্নত অবকাঠামো ও ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থাপনা নয় বরং মানসম্মত আধুনিক শিক্ষার প্রচলনের ক্ষেত্রেও রয়েছে এই কলেজের সাফল্য। দেড় যুগের পথপরিক্রমায় ক্যামব্রিয়ান এখন উন্নতবিশ্বের একটি আধুনিক ডিজিটাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতই তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সকল ভার্চুয়াল সুযোগ সুবিধা দিতে সক্ষম।
তাই প্রাণঘাতী করোনার তান্ডবে স্থবির বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনকে সচল করতে সরকার যে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তার সারথী হতে পেরেছে বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সংসদ টিভিতে প্রচারিত প্রাথমিক শিক্ষার ‘ঘরে বসে শিখি’ এবং মাধ্যমিক শিক্ষার ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ এই দুটি প্রোগ্রামকে সফল করতে সরকারী প্রতিষ্ঠান এটুআই ও ব্যানবেইসের পাশাপাশি ক্যামব্রিয়ানের স্মার্ট ক্লাসরুমগুলোকে স্টুডিও হিসেবে ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্লাস রেকর্ডিং করা হয়। এই বিশেষ ক্লাসসমূহ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত দেশ সেরা শিক্ষকদের মধ্যে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকও অন্যতম।
অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্যামব্রিয়ানের ছয়শতাধিক শিক্ষক ছয়হাজার শিক্ষার্থীকে জি-সুইট( গুগল ক্লাস রুম ),ফেইসবুক গ্রুপ ,হোয়াটস অ্যাপস,ম্যাসেঞ্জার এবংস্মার্ট ক্যাম্পাস সফটওয়্যার এর মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষা সেবা শুরু করে ২১ মার্চ থেকে।ব্যাপক পরিসরে সবাই যাতে উপকৃত হয় সেজন্য স্যাটেলাইট টেলিভিশন বাংলা টিভি ও এশিয়ান টিভি’তে নিয়মিত দেশ সেরা দক্ষ ও প্রশিক্ষিত মেধাবী শিক্ষকদের মাধ্যমে ভার্চুয়াল ক্লাস চালু করেছে ক্যামব্রিয়ান কর্তৃপক্ষ।
ক্লাসগুলোর সময়সূচি হলো বাংলা টিভিতে শুক্রবার, রবিবার, সোমবার ও বৃহস্পতিবার।বিকাল ০৫:৩০ থেকে ০৬:০০ টা পর্যন্ত এবং এশিয়ান টিভিতে : প্রতিদিন সকাল ১০:০০ টা থেকে ১১:০০ টা পর্যন্ত।

দেশের লক্ষলক্ষ শিক্ষার্থী নিয়মিত ভার্চুয়াল-ই এই ক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণ করে তাদের শিক্ষাজীবনকে সচল রাখতে পারছে। এই কার্যক্রম করোনাছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে ক্যামব্রিয়ানের এডুকেশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন এম কে বাশার পিএমজেএফ বলেন,সরকারি ছুটি ঘোষণার পরপরই ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজে রাজধানীসহ দেশের ১৫টি ক্যাম্পাসে ভার্চ্যুয়াল ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির আগেও জরুরি প্রয়োজনে এই প্রতিষ্ঠানটি ভার্চ্যুয়াল ক্লাস পরিচালনা করেছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ক্যামব্রিয়ানের সব শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট প্রস্তুত করা আছে। আমরা সব সময়ই ভার্চ্যুয়াল ক্লাসের উপযুক্ত অবকাঠামো প্রস্তুত রেখেছি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ভার্চ্যুয়াল ক্লাস পরিচালনা করছি। আমাদের কোনও সমস্যা নেই। প্রশিক্ষিত শিক্ষক যেমন রয়েছেন, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও আমরা আগে থেকেই প্রস্তুত রেখেছি।’
ক্যামব্রিয়ান শিক্ষার্থীর বা্হিরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুখবর জানালেন এই শিক্ষানুরাগী।তিনি বলেন,জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে বিএসবি- ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা কর্মসূচীগুলোর সাথে সংযুক্ত থাকতে পেরে সরকারের নিকট কৃতজ্ঞ। ক্যামব্রিয়ানের এডুকেশন গ্রুপের বাহিরেও যে কোনো শিক্ষার্থী (প্লে-দ্বাদশ শ্রেণি) চাইলে এ সকল অনলাইন শিক্ষা সেবা গ্রহণ করতে পারবে। এ জন্য শিক্ষার্থীর জি-মেইল আইডি ও ফোন নম্বর fb.com/digitalcambrian- এ পাঠাতে হবে।বিএসবি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ( ঢাকা,নারায়নগঞ্জ,আখাউড়া )২৫টি স্মার্ট ক্লাসরুমসহ প্রায় ৩০০টি আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম রয়েছে।সরকারি / বেসরকারি যে কোনো শিক্ষাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান টেলিভিশনে / অনলাইনে শ্রেণিভিত্তিক পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রেকর্ডিং বা সরাসরি প্রচারের ক্ষেত্রে আমাদের স্মার্ট ক্লাসরুমসমূহ স্টুডিও হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।এক্ষেত্রে ক্যামব্রিয়ান কর্তৃপক্ষকে কোনো ফি দিতে হবে না।
যেখানে এখনও হাতেগোণা কয়েকটি সরকারী স্কুল কলেজ অনলাইন শিক্ষা চালু করেছে মাত্র।পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অবকাঠামোর অভাবে ইউজিসির নির্দেশ স্বত্ত্বেও এখনও পরিপূর্ণ অনলাইন শিক্ষাসেবা চালু করতে সক্ষম হয়নি, সেখানে সর্বপ্রথম ক্যামব্রিয়ানের পূর্ণাংগ ভার্চুয়াল ক্লাস চালু করা এবং এর মাধ্যমে পুরো দেশকে অনলাইন শিক্ষাসেবা প্রদানের অংগীকার, ‘ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ’ দেশের প্রখম ডিজিটাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান – এই দাবীকে য়থার্থতা দিয়েছে নি:সন্দেহে।তাই শিক্ষা ও প্রযুক্তির সেতুবন্ধনে ক্যামব্রিয়ান এখন সারা দেশে একটি আস্থার নাম।
Discussion about this post