নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রবেশমুখে ‘স্বয়ংক্রিয় জীবাণুমুক্তকরণ বুথ’ স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মুনতাসীর সারোয়ার ও একই বর্ষের পিয়াস দাস যৌথভাবে যন্ত্রটি প্রস্তুত করেন।
জানা যায়, স্বয়ংক্রিয় জীবাণুমুক্তকরণের জন্য স্থাপিত ডিসইনফেকশন চেম্বারটি আলাদাভাবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। প্রথমত ফুটওয়্যার ডিসইনফ্যাক্টিং ম্যাট যেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবাণুনাশক নিঃসরণ করে, যার মাধ্যমে জুতার তলা জীবাণুনাশ করতে সহায়তা করে। দ্বিতীয়ত অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেটি সেন্সরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যন্ত্রটির সামনে হাত বাড়িয়ে দিলে হাত জীবাণুমুক্তকরণীয় তরল নিঃসৃত করে, যার মাধ্যমে হাত জীবাণুমুক্ত হতে সহায়তা করে।
তৃতীয়ত ডিসইনফ্যাক্টিং রুম যেটি নিজের জামাকাপড় জীবাণুনাশ করতে ব্যবহৃত হয়। জীবাণুনাশী তরলগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেন্সরের মাধ্যমে নিঃসৃত হয়। ব্যবহৃত জীবাণুনাশী তরলগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে চেম্বারটির জীবণুমুক্তকরণ সম্পর্কে বলছেন প্রস্তুতকারক চুয়েট শিক্ষার্থী মুনতাসীর সারোয়ার।
সোমবার শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই অটো ডিসইনফেকশন চেম্বারটির উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজের নিজস্ব অর্থায়নে যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। ।
এ ব্যাপারে প্রস্তুতকারক মুনতাসীর সারোয়ার বলেন, আমরা সম্পূর্ণ অলাভজনকভাবে যন্ত্রটি প্রস্তুত করেছি। দেশের মানুষের টাকায় পড়াশোনা করে এবং দেশের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা থেকে আমরা কাজটা করতে চেষ্টা করেছি। উদ্বোধনকালে শিক্ষা উপমন্ত্রী আমাদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি নকশাটা হালকা রুপান্তর করে কিভাবে আরো বেশি ইউজার ফ্রেন্ডলি করা যায় সেটার সুপরামর্শ দিয়েছেন।
Discussion about this post