শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান স্কুলের আওতাধীন ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন এবং এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে তিনজন গবেষক পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২২৪তম সভায় তাদের পিএইচডি ডিগ্রি অনুমোদন দেয়া হয়।
২১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর সাথে পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত গবেষকরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এসময় উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশবিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার উদ্দেশ্য ছিলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনাদের অর্জিত এই জ্ঞান কর্মজীবনে কাজে লাগাবেন। যা দেখে অন্যরা অনুপ্রাণিত হবে। পিএইচডি একটি ইনডিকেটর। যারা সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছেন, তারা কোয়ালিটি মেইনটেন করেই নিচ্ছেন।
এসময় পিএইচডি ডিগ্রিপ্রাপ্ত গবেষক পীযুষ কান্তি ঘোষ ও রুবায়েত আরা অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. সফিকুল ইসলাম, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা ও ব্যক্তিগত সহকারী শেখ মঞ্জুর মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে গবেষক প্রফেসর আরিফা শারমিনকে তাঁর ‘একোয়াসিলভিকালচার ইন দ্য স্যালাইন অ্যাফেক্টেড ইকোলজিক্যাল ক্রিটিক্যাল এরিয়াস (ইসিএ) অব দ্য সুন্দরবনস্’ (Aquasilviculture in the Saline Affected Ecologically Criticial Areas {ECA} of the Sundarbans) শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাঁর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষক এবং বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিন থেকে গবেষক পীযুষ কান্তি ঘোষকে তাঁর ‘স্ক্রিনিং অব স্যালাইন টলারেন্ট ফরেজ জেনোটাইপস এন্ড দেয়ার ম্যানেজমেন্ট প্রাকটিস ইন সাউথ-ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ’ (Screening of Saline Tolerant Forage Genotypes and Their Management Practices in South-Western Bangladesh) শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাঁর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. সফিকুল ইসলাম।
একই ডিসিপ্লিন থেকে গবেষক রুবায়েত আরাকে তাঁর ‘অ্যাসেসিং দ্য পোশেনশিয়ালস অব ফিগ (ফিকাস ক্যারিকা এল.) অ্যাজ এ ফ্রুট ক্রপ ইন বাংলাদেশ’ (Assessing the Potentials of Fig {Ficus carica L.} as a Fruit Crop in Bangladesh) শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। তাঁর গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. শামীম আহমেদ কামাল উদ্দিন খান।
Discussion about this post