শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি ও মুক্তির দর্শন সবসময় বিশ্বে শান্তিকামী ও মুক্তিকামী মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি বঙ্গবন্ধুর এই দর্শনের আলোকে গড়ে ওঠার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ইউনেস্কো স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ এবং তাঁর জীবন-দর্শন ও মূল্যবোধ বিশ্বে সম্প্রীতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং নির্যাতিত, নিপীড়িত ও সংগ্রামী মানুষের মুক্তি অর্জনে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক-২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। এছাড়া, অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস এন্ড লিবার্টি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. ফকরুল আলম এবং স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) বেবী মওদুদের জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, প্রাবন্ধিক, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষক এবং সাবেক সংসদ সদস্য বেবী মওদুদকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক-২০২৩’ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয়। বেবী মওদুদের জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভি’র হাতে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, এমপি স্বর্ণপদক এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সনদপত্র তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেন, শোষণ-নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু সারাজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার পথ চলায় বঙ্গবন্ধু কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ছায়ার মতো কাজ করেছেন বেবী মওদুদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বেবী মওদুদকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক’ প্রদান করা যথার্থ হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রয়াত বেবী মওদুদের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও মূল্যবোধ লেখনীর মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। এই ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত এবং সাংবিধানিক বিধি-বিধান সমুন্নত রাখতে যথাযথ ভূমিকা পালন করার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
Discussion about this post