শিক্ষার আলো ডেস্ক
স্মার্ট বাংলাদেশ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল সনদের যুগে প্রবেশ করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। দেশের প্রথম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শিক্ষার্থীদেরকে ডিজিটাল সনদপত্র প্রদানের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে দেশের একমাত্র ডিজিটাল সনদ প্রত্যয়নকারী কর্তৃপক্ষ ‘রিলিফ ভ্যালিডেশন লিমিটেড সার্টিফায়িং অথরিটি (আরভিএলসিএ)’-এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সনদের জন্য অনলাইনে আবেদন, উত্তোলন, ডিজিটাল স্বাক্ষরিত অনন্য পরিচয় বহনকারী সনদ পাবেন। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান, আরভিএলসিএ’র পক্ষ থেকে ডিরেক্টর শাফকাত মতিন, চিফ অপারেটিং অফিসার আনড্রেস রিথমুলার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন,বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেবার মান বাড়ানোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে এপিএ-এর আওতায় বিভাগ ও দপ্তরে সেবা রেজিস্ট্রার চালু করা হয়েছে। এতে সেবা গ্রহীতার মতামত প্রতিফলিত হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হিসেবে দ্রুত সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সেবা কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন-আজকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শাবিপ্রবির জন্য এক নতুন ইতিহাস।দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ই-সাইন সার্টিফিকেট প্রবর্তন করতে যাচ্ছে এ বিশ্ববিদ্যালয় যা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ এর রূপকল্প গঠনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। আন্তর্জাতিক মানের সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ২০১৭ -২০১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীরা ই-সাইন সার্টিফিকেটের আওতায় আসবে। এই চুক্তির ফলে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ডিজিটাল সনদপত্র বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়, ভিসা ইস্যুকারী অ্যাম্বাসিসহ যেকোনো কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে যাচাই করতে সক্ষম হবে।
অপরদিকে, শাবির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গণ এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ডিরেক্টর শাফকাত মতিন।
শাবিতে ডিজিটাল সনদপত্র বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেজা সেলিম জানান, আগামী অক্টোবর মাস থেকে শিক্ষার্থীরা এ সেবা নিতে পারবেন। বর্তমানে এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Discussion about this post