মুহতারিমা রহমান
সাংস্কৃতিক যোগাযোগ ও শিক্ষাগত সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ কাউন্সিল এবার দশমবারের মতো এর মর্যাদাপূর্ণ স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে অংশ নিতে আবেদন আহ্বান করেছে। বিশ্বজুড়ে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের অনন্য অর্জনগুলোর স্বীকৃতি প্রদানে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নানান ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জন ও ইতিবাচক প্রভাবগুলোতে গুরুত্বারোপ করতে, সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি, কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি, সোশ্যাল অ্যাকশন ও বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন, এই চারটি ক্যাটাগরিতে স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। যোগ্য প্রার্থীরা অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুই ক্ষেত্রেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন। গ্লোবাল অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আন্তর্জাতিক প্রোফাইল সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি পেশাগত নেটওয়ার্ক বাড়ানোর এবং যুক্তরাজ্য ভ্রমণ করে পেশাগত নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নিজেদের ক্যারিয়ার এগিয়ে নেয়ার সুযোগ পাবেন। একইসাথে, বাংলাদেশসহ নির্দিষ্ট কিছু দেশ তাদের ফাইনালিস্টদের নিয়ে জাতীয়
পর্যায়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। পুরস্কারের জন্য আবেদন জমা দেয়ার সর্বশেষ সময় আগামী ২২
অক্টোবর।
মর্যাদাপূর্ণ এই অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রোফাইল সমৃদ্ধ করতে পারবেন এবং পেশাগত নেটওয়ার্ক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়াতে পারবেন। উপরন্তু, তারা যুক্তরাজ্যে একটি পেশাদার নেটওয়ার্কিং সফর জিতবে। আগামী বছর গ্লোবাল অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডের ফাইনালিস্ট ও বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে এবং একটি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মধ্য দিয়ে তাদের গল্প ও সাফল্যের চিত্র সবার সামনে তুলে ধরা হবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে শিক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কমিউনিটি, শিল্পখাত ও জাতির ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রাখছে এমন বাংলাদেশি অ্যালামনাইদের অর্জনের কারণেই এই তৎপরতা সম্ভব হয়েছে। এসব অ্যালামনাইদের সম্মানিত করতে এবং তাদের আশপাশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে এমন কাজকে স্বীকৃতি দেয়াই এই ইন্টারন্যাশনাল অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য।
গত বছর ১শ’র বেশি দেশে বসবাস করা যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের মধ্য থেকে এই পুরস্কারের জন্য ১২শ’র বেশি আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদনকারী যুক্তরাজ্য জুড়ে ১২০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করেন। বিচারক প্যানেলের সাথে বিস্তারিত সাক্ষাৎকারের পর বাংলাদেশ থেকে ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের জন্য নিম্নোক্ত বিজয়ীরা মনোনীত হন। বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ইউনিভার্সিটি অব বার্মিংহামের মো. সামিউল মাসুদ, কালচার অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইকের এরিক আনাম খান, সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী
ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স ও ইউনিভার্সিটি অব ডারহামের ড. সাকিব আমিন ও সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডনের কাজী হাসান রবিন।
পুরস্কারের বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব এডুকেশন বাংলাদেশ তৌফিক হাসান বলেন, “বিশ্বজুড়ে যুক্তরাজ্যের অ্যালামনাইদের অসাধারণ অর্জনকে স্বীকৃতি দেয়ার মর্যাদাপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম এই স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড। তারা যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে নিজেদের কমিউনিটি ও এর বাইরেও ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তা কাজে লাগান। তাদের অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি দিতে ও যুক্তরাজ্যের উচ্চশিক্ষার সুদূরপ্রসারী প্রভাবের ওপর গুরুত্ব দিতেই এই পুরস্কার দেয়া হয়। আমরা সকল যোগ্য অ্যালামনাইদের এখানে অংশ নিতে আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানাই; এবং তাদের অনুপ্রেরণামূলক গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার আহবান জানাই।”
বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী মো. সামিউল মাসুদ বলেন, “সম্ভাবনাময় স্কলারদের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড নানা সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে। দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার ক্ষেত্রে এ পুরস্কার আরও বিস্তৃত পরিসরে ভূমিকা রাখবে।”
কীভাবে আবেদন করবেন, ক্যাটাগরি, আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতার মানদণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ভিজিট করুন- https://study-uk.britishcouncil.org/alumni-awards
সময়সীমা
২২ অক্টোবর ২০২৩ আবেদন করার শেষ সময় (২৩:৫৯ জিএমটি)
নভেম্বর ২০২৩ আবেদনকারীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি
ডিসেম্বর ২০২৩ – জানুয়ারি ২০২৪ ফাইনালিস্ট ঘোষণা
মার্চ ২০২৪ বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী ঘোষণা
Discussion about this post