শিক্ষার আলো ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেস (কারস্) ভবনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবপ্রতিষ্ঠিত ‘ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার’-এর উদ্বোধন করেন। এসময় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু বিন হাসান সুসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আফতাব আলী শেখ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ও অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের কপিন স্টেট ইউনিভার্সিটি’র ন্যানোটেকনোলজি সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে ‘ন্যানোটেকনোলজি: স্মল থিংস্ ম্যাটার এন্ড হ্যাভ পাওয়ার টু ট্রান্সফর্ম এনার্জি, হেলথ এন্ড দি এনভায়রনমেন্ট’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান নবপ্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সেন্টার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে ন্যানোটেকনোলজি বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণার নতুন দ্বার উন্মোচন হলো। বিজ্ঞানের পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ন্যানোটেকনোলজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণার পাশাপাশি নিয়মিত প্রশিক্ষণ, সেমিনার আয়োজন এবং ন্যানোটেকনোলজির সাথে সংশ্লিষ্ট গবেষকদের উৎসাহ ও সহযোগিতা প্রদানে এই সেন্টার কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের ন্যানোটেকনোলজি খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য উপাচার্য এই সেন্টারের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যখাত, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ন্যানোটেকনোলজির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের ন্যানোটেকনোলজি বিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণায় এই সেন্টার নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সেন্টারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সায়েন্টিফিক সেশনে দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান গবেষকগণ ৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
Discussion about this post