বিশেষ প্রতিবেদক
করোনা পরীক্ষার কিট তৈরির সক্ষমতা আছে জানিয়ে গত ২৯ মার্চ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় ঢাবি। দেশসেরা মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বায়োটেকনোলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার থাকার কথা জানানো হয় চিঠিতে। সার্বিক সহযোগিতা পেলে কিট উৎপাদনে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
তবে কিট তৈরির বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এখনো কোনও সাড়া পাননি তারা। যদিও করোনার নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দাবি, সার্বিক সহযোগিতা পেলে এক মাসের মধ্যে করোনা পরীক্ষার কিট তৈরি করতে পারবেন তারা।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিজস্ব গবেষণায় কিট তৈরি করতে কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই। নিজস্ব গবেষণায় যে কেউ এটি তৈরি করতে পারবে। সেজন্য অনুমতি লাগেনা। তবে কিট তৈরি হওয়ার পর কয়েকটি ধাপে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
করোনা টেস্টের কিট তৈরির সক্ষমতা আছে জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দেড় মাস আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আমাদের কিট তৈরির সক্ষমতার বিষয়ে জানিয়েছিলাম। তারা এখনো আমাদের কিছুই জানায়নি। কিট তৈরির সঙ্গে অর্থের বিষয় জড়িত আছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আমাদের গবেষণা টিম জানিয়েছে সার্বিকভাবে ৫০ লাখ টাকার মতো লাগবে। বিদেশ থেকে যে কিট আনা হচ্ছে, তার চেয়ে কম খরচে আমরা কিট তৈরি করতে পারবো।
দেশের সেরা সব বায়োসায়েন্টিস্ট আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের সেরা বায়োটেকনোলজিস্ট, বায়োকেমিস্ট, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছে। এখন শুধু দরকার সার্বিক সহযোগিতা। করোনার জন্য গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল টিমকে সবকিছু জানিয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে বলেছি। তারা সম্মতি দিলে আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করবো। আমরা এক মাসের মধ্যে কিট তৈরি করতে পারবো বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. হাবিবুর রহমান খান বলেন, নিজস্ব গবেষণায় কিট তৈরি করতে অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। কিট তৈরির জন্য প্রাথমিক সম্মতির দরকার নেই। তৈরির পর কয়েকটি ধাপে অনুমোদন লাগবে। একাধিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করাতে পারে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর যদি ব্যাপকভাবে তারা করতে চায় সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।
Discussion about this post