শিক্ষার আলো ডেস্ক
গত ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং, রবিবার, চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো চট্টগ্রাম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র স্কুল পরিচালনা পরিষদের নির্বাহী সদস্য এবং রিমা ট্রাস্টের ট্রেজারার এবং দি ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারস বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম এর ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম । সভাপতিত্ব করেন স্কুল অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিব রহমত উল্লাহ। পুরস্কার ঘোষণা ও ধারা বর্ণনা করেন সহকারী শিক্ষক বিনতে শফি হুসনা খানম ও শবনম মুস্তারী। ইভেন্ট পরিচালনা করেন ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মো. আমজাদ হোছাইন, সহকারী শিক্ষক শামীম উদ্দিন, নুসরাত জাহান, ফাহমিদা সোবহান,অংকন রায়,ফারুক আহমেদ এবং মিজানুর রহমান । এছাড়া অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন ইভেন্টে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় সংগীত ও শপথ পাঠের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে ছাত্রছাত্রীদের পরিবেশনায় মার্চপাস্ট উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।খেলার মধ্যে ছিলো , ৫০ ও ১০০ মিটার দৌড়,বিস্কুট দৌঁড়,মার্বেল দৌঁড়,সুঁইসূতা দৌড়, অংক দৌঁড় মোরগ লড়াই,দড়ি লাফ, ব্যাঙ লাফ, হাই জাম্প, লং জাম্প,মিউজিক্যাল চেয়ার ইত্যাদি বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে ক্ষুদে ক্রীড়াবিদরা চরম উৎসাহে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিলো যেমন খুশী তেমন সাজো ।
এই পর্বে বেগম রোকেয়া,ফুল কুমারী, ঘটক, মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার, সেনা কমান্ডো,স্পাইডারম্যান,পুলিশ অফিসার, নববধূ, কৃষক ক্রিকেটার সকলে সমবেত হয় একই মঞ্চে! বিচারকদের প্রশ্নের মজার মজার সব উত্তর দিয়ে পুরস্কার বাগিয়ে নেয় প্রতিযোগীরা।উপস্থিত অভিভাবক ও দর্শকগণ দারুণ উপভোগ করেন বর্ণাঢ্য এই ক্রীড়া আয়োজন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন রীমা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ মিয়ানমার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি এস, এম, নুরুল হক (সি আই পি)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, খেলাধূলা যারা করে তারা যেমন আনন্দিত হয় তেমনি যারা দেখেন তারাও উপভোগ করেন।শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধূলার কোন বিকল্প নেই।খেলাধূলা কিশোর তরুণদের মাদক এবং অনৈতিক কাজ থেকে বিরত রাখে।তাই এর চর্চা বাড়াতে হবে।
সভাপতি অধ্যক্ষ হাবিব রহমত উল্লাহ বলেন,খেলাধূলা সহশিক্ষা কার্যক্রমসমূহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।এর মাধ্যমে শরীরের সাথেসাথে তার যে মানসিক বিকাশ লাভ ঘটে তাই তার লেখাপড়ার অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।তাই আমরা সবসময় খেলাধূলা ওশরীরচর্চার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
সবশেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Discussion about this post