মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
যথাযথ মর্যাদায় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি পালন করলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস-২০২৫। অমর ২১ শে উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো পতাকা উত্তোলন, দোয়া ও বিশেষ আলোচনা সভা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ, আরেফিন নগরে হল রুমে বিকেল ৩টায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য(ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান।
সাধারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান জমির উদ্দিনের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মোজাম্মেল হক, ইইই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক প্রকৌশলী আশুতোষ নাথ, রেজিস্ট্রার এ এফ এম মোদাচ্ছের আলী, সিএসই বিভাগের প্রধান জমির আহমেদ। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, শিক্ষকসহ কর্মকতার্রা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আজ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি সেইসব বীরদের যাদের আত্মত্যাগেই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল ঘটনা নিজ মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়া। অথচ দুঃখের বিষয় ভাষার অধিকার আদায়ের ৭৩ বছরেও সর্বত্র বাংলার প্রচলন হয়নি।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি মিললেও সাইনবোর্ড, ফেস্টুন থেকে শুরু করে সবখানে ইংরেজির ছড়াছড়ি। আমাদের সকলের উচিৎ শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করা, আগে নিজের ভাষাকে ভালো করে শিখে তবেই অন্য ভাষার চচার্ করা। শুধুমাত্র বিশেষ দিবসে নয় সব সময় বাংলাকে ধারণ করতে হবে আমাদের চিন্তা, চেতনা ও মননে।
তাঁরা আরও বলেন, ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রম্নগড়া ফেব্রুয়ারিকে শুধুমাত্র একদিনের ফ্রেমে সীমাবদ্ধ না রেখে একুশের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন ও বাংলাকে ভালোবাসতে পারলে তবেই বীর শহীদদের আত্মত্যাগের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে।
পরে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ, জাতি, প্রতিষ্ঠানের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন।
Discussion about this post