শিক্ষার আলো ডেস্ক
গত বছরের আগস্টে আমেরিকা থেকে প্রকাশিত হয়েছিল বাংলাদেশি গবেষক অধ্যাপক ড. এ কে এম হুমায়ুন কবিরের বই ‘মিল্ক এন্ড ডেইরি ফুডস : নিউট্রিশন, প্রসেসিং এন্ড হেলদি এজিং’। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) এই অধ্যাপকের বইটি প্রকাশ করেছিল বিশ্বখ্যাত টেইলর এন্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি প্রেস। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিজ্ঞানীদের মধ্যে সাড়া ফেলা বইটিকে দুগ্ধবিজ্ঞান বিষয়ক সেরা তিনটি বইয়ের তালিকায় স্থান দিয়েছে ‘ডেইরি ফুড ম্যাগাজিন’।
আমেরিকার মিশিগান থেকে প্রকাশিত দুগ্ধবিজ্ঞান বিষয়ক এ ম্যাগাজিন সারাবিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় দুগ্ধজাত খাবার, দুগ্ধবিজ্ঞান ও এই খাতের শিক্ষার্থীদের জন্য নানা তথ্য প্রকাশ করে থাকে। সংশ্লিষ্ট লেখক-গবেষকদের লেখা দুগ্ধজাত খাবার ও দুগ্ধবিজ্ঞান বিষয়ক নানা বইয়ের হালনাগাদ তথ্যও প্রকাশ করে মাসিক গণমাধ্যমটি। ম্যাগাজিনটিতে সম্প্রতি প্রকাশিত দুগ্ধজাত খাবার বিষয়ক সেরা তিনটি বইয়ের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রাখা হয়েছে ‘মিল্ক এন্ড ডেইরি ফুডস : নিউট্রিশন, প্রসেসিং এন্ড হেলদি এজিং’ বইটি। প্রথম স্থানে রাখা হয়েছে বিখ্যাত দুগ্ধবিজ্ঞানী উইলিয়াম আর্ল পিটারসেনের বই ‘ডেইরি সায়েন্স: ইটস প্রিন্সিপল এন্ড প্র্যাক্টিস’ বইটি।
বিখ্যাত বিজ্ঞানী সিসাইল লে ফ্লোচ ফৌরে, পিয়েরে চুক, গ্যালি ট্যাংগিউ, লুসা ল্যানোট ও রোমাইন জিনেথেত সম্পাদিত ‘ড্রায়িং ইন দ্য ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি’ বইটি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। শুধু তাই নয়, সারাবিশ্বে নানা বিষয়ে একাডেমিক প্রশ্নোত্তরের জন্য পরিচিত অনলাইনভিত্তিক ভারতীয় প্লাটফর্ম ‘শিক্ষা ডট কম’ও বইটিকে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা তিনটি বইয়ের তালিকায় রেখেছে। ওই প্লাটফর্মে এক ব্যবহারকারীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষার্থীদের জন্য দুগ্ধবিজ্ঞান বিষয়ক সেরা চারটি বইয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় ‘মিল্ক এন্ড ডেইরি ফুডস : নিউট্রিশন, প্রসেসিং এন্ড হেলদি এজিং’ বইটি তৃতীয়স্থানে রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন-চবির ২ শহীদের নামে হচ্ছে ‘হল ও ভবনের নাম’
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. একেএম হুমায়ুন কবির বলেন, করোনাকালীন দীর্ঘসময়ে কঠোর পরিশ্রম করে আমি বইটি লিখেছিলাম। বইটিতে দুগ্ধবিজ্ঞান বিষয়ে সর্বশেষ হালনাগাদ করা তথ্য ও সাম্প্রতিক গবেষণার রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে। সেরাদের তালিকায় বইটি স্থান পেয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগছে, নিজের পরিশ্রমটা সার্থক মনে হচ্ছে। তবে আন্তর্জাতিক এই অর্জন শুধু আমার একার নয়, এটা পুরো দেশের। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা অনুযায়ী, গোটা দুনিয়ায় বৈজ্ঞানিক একাডেমিক বই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হিসেবেও টেইলর এন্ড ফ্রান্সিস গ্রুপের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘সিআরসি প্রেসে’র অবস্থান একেবারে সামনের দিকে।
Discussion about this post