চবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপি করোনাভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মরণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবেলায় ৭ টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার (১৩ জুন) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচায্য প্রফেসর ড. শিরিন আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেইজে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারী করোনার চিকিৎসা সহায়ক এই পদক্ষেপ গুলো তুলে ধরেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ গুলো হলো-
১. বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে একটি এম্বুলেন্স সার্বক্ষণিকভাবে সার্ভিস প্রদান করবে।
২. চবি মেডিকেল সেন্টারে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য অক্সিজেনসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী বৃদ্ধিসহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির বিষয়ে তাগিদ দেয়া হয়েছে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের করোনা শনাক্তে স্যাম্পল কালেকশন করার জন্য চট্টগ্রাম শহরে একটি বুথ স্থাপনের সিদ্ধান্ত বিবেচনাধীন।
৪. চবি পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রদানের জন্য চবি অধিভুক্ত দুটি মেডিকেল কলেজ যথাক্রমে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং চাঁন্দগাও শমসেরপাড়া ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও করোনা আক্রান্ত চবি পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষের সাথে চবি মাননীয় উপাচার্যের আলোচনা হয়েছে। অধ্যক্ষ মহোদয় এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
৫। চবি মেডিকেল সেন্টারে আরও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাননীয় উপাচার্য চবি এলামনাই এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করেছেন এবং এ ব্যাপারে তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
৬। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে একটি ফিল্ড হাসপাতাল করার ব্যাপারে চবি এলামনাই এসোসিয়েশন সহ সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা চলছে।
৭। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা যায় কিনা সে ব্যাপারেও আলোচনা চলছে।
এছাড়াও চবি প্রশাসন একটি ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম গঠনের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।
Discussion about this post