তানভীর জাকারিয়া চৌধুরী
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, আগামী দিনের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সফল হতে হলে কর্মঠ ও অধ্যবসায়ী হওয়ার পাশাপাশি উদ্ভাবনশীলতা ও সৃজনশীলতা জরুরি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে টিকে থাকতে হলে লিডারশিপ, ইনোভেশন, ক্রিটিকাল থিংকিং, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এসব দক্ষতা থাকতে হবে। তাই শুধু ক্লাস নয়, জ্ঞানের অন্বেষণ করতে হবে নিজের চারপাশ থেকে।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ফল ২০২১ সেমিস্টারের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় এক নবদিগন্তের সূচনা করেছে। আশা করি তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো দেদীপ্যমান হয়ে উঠবে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের রঙিন স্বপ্ন বুকে নিয়ে ইডিইউতে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ ও ওরিয়েন্টেশন আজ শনিবার ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় নগরীর খুলশীস্থ ইডিইউ ক্যাম্পাসে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন শিক্ষার্থীরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন এতে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধান বক্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। তিনি বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান, প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানসহ কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা প্রতিষ্ঠা করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। তাই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি গড়ে তোলা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো মূলমন্ত্র। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক তথা সামগ্রিকভাবে মুক্তি অর্জনই ছিলো এ চেতনা। আমরা জানি, সুদূরপ্রসারী ও উন্নত শিক্ষা ব্যতীত এ মুক্তি অর্জন সম্ভব নয়। তাই, সর্বাধুনিক ও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে জাতিকে গড়ে তুলতে রাজধানী ঢাকায় না করে তুলনামূলক পিছিয়ে থাকা চট্টগ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছি এ বিশ্ববিদ্যালয়, এবং নিত্যনতুন উদ্যোগ ও সুযোগসুবিধা যুক্ত করে ইডিইউকে একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরে কাজ করছি।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান বলেন, উদ্ভাবন ও বুদ্ধিমত্তাই হলো জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সার কথা। ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের এ পথেই গড়ে তুলছি আমরা। পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানবিকবোধও জাগ্রত করছি।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার প্রাক্তন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রোশাঙ্গীর। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তিই আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করছে। আগামী পৃথিবীতে নিজেকে টিকিয়ে রেখে উন্নতির শিখরে আরোহণে অবশ্যই প্রযুক্তিতে পারদর্শী হতে হবে।
নবাগত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় অনুষ্ঠানে। দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয় ওরিয়েন্টেশন। প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীদের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি অনুষদের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া। আরো বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সামস উদ-দোহা।
আরো বক্তব্য রাখেন তিন স্কুলের ডিন যথাক্রমে অধ্যাপক ড. নাজিম উদ্দিন, অধ্যাপক ড. রকিবুল কবির ও মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। এ সময় সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় পর্বে ইডিইউ কালচারাল ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
Discussion about this post