তানভীর জাকারিয়া চৌধুরী
শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে হরহামেশাই। তাই শুষ্ক মৌসুমের প্রাক্কালেই ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) আয়োজন করা হয় আগুন নেভানো ও উদ্ধার প্রশিক্ষণের। ‘আগুনের আদ্যোপান্ত’ শিরোনামে আজ ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে এ প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রশিক্ষণে অগ্নিকাণ্ড ব্যবস্থাপনার তাত্ত্বিক ও বাস্তবিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। আগুনের ধরন, অগ্নিকাণ্ডের কারণ, অগ্নি-নির্বাপক সরঞ্জামের ধরন, অগ্নি-নির্বাপণ কৌশল, সচেতনতা ও সতর্কতা, অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা, অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, অগ্নি ব্যবস্থাপনা, এবং দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা পরবর্তী প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে তাত্ত্বিক জ্ঞান ও ব্যবহারিক কৌশল সম্বলিত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে আগুন নির্বাপন ব্যবস্থা বর্তমানে অনেক উন্নত। ফায়ার হাইড্রেন্ট পৌঁছে গেছে প্রতিটি বিল্ডিংয়ের সামনে। ফলে, জনাকীর্ণ বা অনেক উঁচু ভবনেও হঠাৎ আগুন লেগে গেলে তা খুব সহজেই নিভিয়ে ফেলা যাচ্ছে। বাংলাদেশেও এ ধরনের ব্যবস্থা খুব দ্রুত গড়ে তোলা প্রয়োজন।
প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, ঘরে-অফিসে আগুন লাগলে প্রাথমিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র তথা ফায়ার এক্সটিংগুইশার। তবে, একেক ধরনের অগ্নিকাণ্ডের জন্য ভিন্ন ভিন্ন এক্সটিংগুইশার রয়েছে এবং ধরন বুঝে তা ব্যবহার করতে হয়।
অন্যথায় আগুন নেভার পরিবর্তে আরো বেড়েও যেতে পারে। প্রাথমিক অবস্থাতেই আগুনের ওপর ফায়ার এক্সটিংগুইশার প্রয়োগ করতে হয়। তবে, এক্সটিংগুইশারে আগুন নিভছে কি না তার জন্য অপেক্ষা না করে অগ্নিকাণ্ডের সাথে সাথেই নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দিতে হবে।
এ সময় তিনি ইডিইউ কর্তৃপক্ষকে এ প্রশিক্ষণ আয়োজনে ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান।
তিনি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই উচিৎ কর্মরতদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে এ ধরনের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা।এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সভায় উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া, সহযোগী ডিন যথাক্রমে স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, স্কুল অব বিজনেসের প্রফেসর ড. রকিবুল কবির, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রক্টর মো. আসাদুজ্জামানসহ সকল ফ্যাকাল্টি মেম্বার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
Discussion about this post