তানভীর পিয়াল
একটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক অগ্রগতি অর্জনে নেতৃত্ব দেন বুদ্ধিজীবীরা। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে উন্নত জাতি গড়ে ওঠে তাদেরই হাত ধরে। নতুন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই আমাদের মেধাগত উন্নতির পথ রুদ্ধ করে দিতে পরাজিত শক্তি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলো।
আজ ১৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ) আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও মুক্তিযুদ্ধকালীন আন্তর্জাতিক জনমত গঠনের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রান্তে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে প্রায় এক হাজারের মতো বুদ্ধিবৃত্তিক নানা ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা। তাদের শ্রদ্ধায় স্মরণে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয় সারা দেশে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সামস উদ-দোহা বলেন, একাত্তরের সময়কার বুদ্ধিজীবীরা বোকা ছিলেন। তারা দেশ ও জাতির কল্যাণের কথা বলতেন।
সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতেন তাদের কথায়, লেখায়। বোকা বলেই তারা ছিলেন ক্ষমতাসীনদের কাছে ভয়ংকর। তাই তাদের হত্যা করা হয়েছিলো। বর্তমান সময়ের বুদ্ধিজীবীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। কারণ তারা নিজেদের স্বার্থ, উন্নতির কথা ভেবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডকে ন্যায্যতা প্রদান করে। দেশ ও দশের কথা বলে না।
সেইসব সাধারণ মানুষের কথা বলা বোকা বুদ্ধিজীবীদের বড় অভাব আজকের দিনে।
রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. রকিবুল কবির, স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রক্টর আসাদুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক ড. শাহ আহমেদ রিপন ও অনন্যা নন্দী। এছাড়া সকল শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post