মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
যথাযথ মর্যাদায় সাদার্ন ইউনিভার্সিটি পালন করলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস—২০২২। অমর ২১ শে উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিলো সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, কোরআন তেলাওয়াত, সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, গান, কবিতা আবৃত্তি এবং বিশেষ আলোচনা সভা।
সকাল ১১টায় উপ—উপাচার্য অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক। এসময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের উপদেষ্টা, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষকসহ কর্মকতার্রা।
আলোচনায় সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সূচনায় হয়েছিলো মহান ৫২’র ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। একুশ একটি চেতনা ও অনুপ্রেরণার নাম যা আমাদেরকে অধিকার আদায়ের পথ দেখিয়ে ছিল। দেশভাগের পর থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত স্বাধিকার রক্ষায় যত আন্দোলন হয়েছে তার মূলভিত্তি ছিল ভাষা আন্দোলন। পৃথিবীর ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল ঘটনা নিজ মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়া। অথচ দুঃখের বিষয় ভাষার অধিকার আদায়ের ৭০ বছরেও সর্বত্র বাংলার প্রচলন হয়নি। আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি মেললেও সাইনবোর্ড, ফেস্টুন থেকে শুরু করে সবখানে ইংরেজির ছড়াছড়ি। আমাদের সকলের উচিৎ শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষাকে উপস্থাপন করা, আগে নিজের ভাষাকে ভালো করে শিখে তবেই অন্য ভাষার চচার্ করা। শুধুমাত্র বিশেষ দিবসে নয় সব সময় বাংলাকে ধারণ করতে হবে আমাদের চিন্তা, চেতনা ও মননে।
তাঁরা আরও বলেন, আজ শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি সেইসব বীরদের যােঁদর আত্মত্যাগেই আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারছি। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানায় স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রম্নগড়া ফেব্রুয়ারিকে শুধুমাত্র একদিনের ফ্রেমে সীমাবদ্ধ না রেখে একুশের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। সত্যিকার অর্থে বাংলা ভাষাকে ভালোবাসতে পারলে তবেই বীর শহীদদের আত্মত্যাগের মযার্দা অক্ষুন্ন থাকবে।
পরে বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ, জাতি, প্রতিষ্ঠানের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আল আযহারী। পুরো অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সাধারণ শিক্ষা বিভাগের প্রধান ড.তাসনিমা জান্নাত।
Discussion about this post