নিজস্ব প্রতিবেদক
ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল বা ই-ভেহিক্যাল আগামী দিনের মোটর ইন্ডাস্ট্রিজকে নেতৃত্ব দিবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে ই-ভেহিক্যাল মূখ্য ভূমিকা রাখবে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (আইআইইউসি) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ডিপার্টমেন্টের ছাত্ররা তৈরী করল সম্পূর্ণ সৌরচালিত ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল (ই-ভেহিক্যাল)। ইইই ডিপার্টমেন্টের চতুর্থ বর্ষের প্রজেক্ট হিসেবে উক্ত চার চাকার ই-ভেহিক্যালটি উপস্থাপন করা হয়।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ইইই বিভাগের ১৮ তম ব্যাচের মেহতাজ কালাম, আব্দুল্লাহ আল জাবেদ, মুহ্তাসিম আলম, আবদুন নূর পাভেল এবং আবু জাহেদ মিলে তৈরী করেছেন এই সোলার পাওয়ারড ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যালটি। তাদের এই উদ্ভাবনে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন। তাদের তৈরি ভেহিক্যালটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নিবে সাড়ে ৬ ঘণ্টা এবং একবার সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে গেলে ভেহিক্যালটি সর্বোচ্চ ২৫ কি.মি./ঘণ্টা গতিবেগে একটানা ৩ ঘণ্টা চলতে পারবে। ভেহিক্যালটি তৈরিতে তাদের সময় লেগেছে প্রায় ৮ মাস এবং খরচ হয়েছে প্রায় এক লক্ষ টাকা। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০০ ওয়াটের সোলার প্যানেল, ৮৫০ ওয়াটের মোটর, ১২০ এম্পিয়ার-আওয়ার ক্যাপাসিটির ৪৮ ভোল্ট এর ব্যাটারি।
গত ১৭ এপ্রিল ভেহিক্যালটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে প্রদর্শনের জন্য অবমুক্ত করেন আইআইইউসির বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এমপি। উপস্থিত ছিলেন বিওটি সদস্য প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এসোসিয়েট প্রফেসর শামীমুল হক চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক প্রকৌশলী রশিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এই প্রজেক্টের সুপারভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, সরকারের অনুদান এবং ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে এই প্রজেক্টের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অটোনোমাস ভেহিক্যাল তৈরী করা যাবে এবং এ জাতীয় প্রজেক্ট সরকারের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অগ্রযাত্রাকে বেগবান করবে এবং দেশের শিক্ষার্থীদেরকে ই-ভেহিক্যাল গবেষণায় উদ্বুদ্ধ করবে। প্রজেক্ট বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা করেন বিওটি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।
Discussion about this post