তানভীর পিয়াল
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার উন্নয়নে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। গ্রামীণফোনের প্রতিনিধি দলের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, পারষ্পরিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে গ্রামীণফোন ও ইডিইউ। চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানে গড়ে তুলছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, যা গ্রামীণফোনের দক্ষ জনবলের চাহিদা মেটাচ্ছে।
এছাড়া করোনাকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস নির্বিঘ্ন করতে ফ্রি ১৫ জিবি ডেটা বান্ডেল দেওয়ার যে উদ্যোগ আমরা নিয়েছিলাম, তা বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলো গ্রামীণফোন, যা এখনো বলবৎ আছে।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে গ্রামীণের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) ড. আসিফ নাইমুর রশিদের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন হেড অব এমার্জিং একাউন্টস চট্টগ্রাম আবিদা ফাহমি বর্ষা ও স্ট্র্যাটেজিক একান্টস ম্যানেজার জাকির ইকবাল।
ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) স্থায়ী ক্যাম্পাসের স্থাপত্যশৈলী ও একাডেমিক কার্যক্রম দেখে মুগ্ধ হয়েছে গ্রামীণফোনের প্রতিনিধি দল। আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স গবেষক ও একাডেমিক নানান অর্জনে ভূষিত ড. আসিফ বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্যই অত্যন্ত আকাক্সিক্ষত। গ্রামীণফোনের পাশাপাশি সমগ্র বাংলাদেশে চাকরির বাজারে ইডিইউর শিক্ষার্থীরা সবসময়ই এক্ষেত্রে দুর্দান্ত ভূমিকা রাখছে। দেশসেরা টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস প্রদানে গ্রামীণফোনের মূল ভরসার জায়গা আমাদের এই বিশ্বমানের কর্মীরা।
ইডিইউর উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সিকান্দার খান বলেন, শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে পারে গ্রামীণফোনের মতো বিশ্বমানের কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের কর্মঅভিজ্ঞতা আমাদের শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। এতে আমরাও এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর চাহিদা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বুঝতে ও সেভাবেই শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে পারবো।
Discussion about this post