তানভীর পিয়াল
শ্রদ্ধাবনতচিত্তে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করেছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। আজ বুধবার বিকেল ৩টায় ইডিইউ ক্যাম্পাসে দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ মিনারে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাক-হানাদার বাহিনীর নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সভা শুরু হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান। তিনি বলেন, একটি দেশ বা জাতিকে উন্নত করে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা। এ চর্চায় নেতৃত্ব দেন বুদ্ধিজীবীরাই। মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চেয়েছিলো যুদ্ধশেষেও যাতে বাঙালি জাতি আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। এ ঘৃণ্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে বাঙালির বৌদ্ধিক নেতৃত্ব নিশ্চিহ্ন করতে তারা রাতের আঁধারে হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। ধর্মীয় মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতা থেকে জাতিকে মুক্ত করতে না পারলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মূল উৎকর্ষই আমরা অর্জন করতে পারবো না।
প্রধান বক্তা সাঈদ আল নোমান বলেছেন, যে কোনো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীদের নিষ্ক্রিয় বা নিঃশেষ করে দেয়া ঘৃণ্যতম কাজ। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করারই হীন প্রচেষ্টা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শূন্যতাকে পূরণ করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা হয়েছে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে বর্তমান প্রজন্মের মাঝে শিক্ষা ও বুদ্ধিজীবিতা গড়ে তুলতে হবে।
রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ও স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আলোচক ছিলেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, প্রক্টর আসাদুজ্জামান ও স্কুল অব বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক তোফাতুন্নেছা চৌধুরী। তারা বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকারদের ষড়যন্ত্রে যে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ঘটেছিলো তার রেশ আমরা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি। বিশ্বজুড়ে এখনো বুদ্ধিজীবীদের কলমকে দাবিয়ে রাখা হয়, মুক্তচিন্তাকে স্থবির করে দেয়ার অপচেষ্টা হয়। চিন্তার ধারাকে বাধাগ্রস্থ করা বুদ্ধিজীবী হত্যার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post