নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর সুপরিচিত বিদ্যালয় কর্ণফুলী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস ও বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ।
আয়োজনসমূহের মধ্যে ছিলো চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ। সকালে বিভিন্ন গ্রুপে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উপজীব্য করে রংতুলিতে ইতিহাসের নানা চিত্র তুলে ধরে ছাত্রছাত্রীরা।
এরপর শুরু হয় শিশু দিবসের বিশেষ আলোচনা সভা। স্কুল অধ্যক্ষ সমরজিৎ দাশের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক আজিমউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সকল শ্রেণির শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনার শুরুতে পবিত্র কোরআন পাঠ করেন ৭ম শ্রেণির ছাত্র ইমরান ইলাহি জামী।বক্তব্য রাখেন শিক্ষক প্রদীপ কুমার নাথ, আব্দুল হান্নান সরকার, আসমাউল হুসনা তুহিন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। বক্তাগণ বলেন, বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব হল তিনি শুধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, তিনি বাঙালি জাতিকে অনন্যসাধারণ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে হাজার বছরের বাঙালি জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টুঙ্গিপাড়া গ্রামে যে খোকার জন্ম হয়েছিলো ,নিজের জীবন বিপন্ন করে এই শিশুই একদিন বাঙালি জাতির জন্য এনে দিয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক সফলতা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ সমরজিৎ দাশ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সাহসে, সততায় , নেতৃত্বে ও মানবিকতায় একজন অতুলনীয় মানব। তাই তাঁর জীবনী অনুসরণ করে তোমাদেরও ছোটবেলা থেকেই সৎচরিত্র গঠন করতে হবে। শিশুদের তিনি প্রচন্ড ভালোবাসতেন এবং শিশু অধিকারে তিনি বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধুর মত মহাননেতাকে জানতে হলে তাঁর উপর লেখা বই পাঠ করতে হবে।তাঁর জীবনী অনুসরণ করতে হবে।বংগবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে আজকের শিশুদেরকেই সোনার মানুষরুপে গড়তে হবে।
আলোচনা শেষে মহান নেতা এবং তাঁর পরিবারবর্গের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।সভাশেষে চিত্রাংকন ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
Discussion about this post