মো. সাইদুল ইসলাম চৌধুরী
নানা আয়োজনে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে পালিত হলো স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। শোক দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো ব্যাজ ধারণ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক নাটিকা প্রদর্শন, খতমে কোরআন, মিলাদ, দোয়া মাহফিলসহ বিশেষ আলোচনা সভা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরের হল রুমে কোষাধ্যক্ষ ড. শরীফ আশরাফউজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তা ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শরীফুজ্জামান, কলা, সমাজবিজ্ঞান এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক চৌধুরী মোহাম্মদ আলী, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. শওকতুল মেহের, বিভিন্ন বিভাগের উপদেষ্টা, অধ্যাপক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা বলেন, ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের ইতিহাসের ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন কারণ এই দিনে আমরা হারিয়েছি মহান নেতাকে। তবে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্থান রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। আজ শোকের দিনে বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । যদি মহান এ নেতা বেঁচে থাকতেন তাহলে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশকে আজ ছাড়িয়ে যেতো।
তাঁরা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অভিন্ন সত্তা, তিনি ছিলেন জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার। ৪৭ এর পর থেকে জনগণের অধিকার আদায়ের সব আন্দোলনেই শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন সোচ্চার। ৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছিলো এই দেশের আপামর মানুষ। জাতির দুর্ভাগ্য যে, আমরা এ মহান নেতাকে হারিয়েছি কিছু স্বার্থন্বেষী ও বিপথগামী বিশ্বাসঘাতকদের কারণে। আমাদের উচিৎ মহান এ ব্যক্তিত্বকে কোনো রাজনৈতিক স্বার্থে বিভক্ত না করে শ্রদ্ধাভরে তার দেশপ্রেমকে স্মরণ করা। যদি তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় তাহলে এ আত্মত্যাগ প্রকৃত মর্যাদা পাবে। পরে জাতির জনক এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ইসলামিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাঈদ মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন
Discussion about this post