এরপর আলোচনা সভায় উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদের সামনে মহান একুশের ইতিহাস ও মাতৃভাষার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন শিক্ষকগণ। স্বাগত বক্তব্যে সহকারী প্রধান শিক্ষক সালেহ উদ্দিন বলেন, ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষার’ মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নব প্রেরণা। এরই পথ বেয়ে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
সভাপতির বক্তব্যে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব সৈয়দ লকিতুল্লাহ বলেন- বায়ান্ন’র ভাষা শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাই, ‘অমর ২১ শে ফেব্রুয়ারি ও মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’ এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
আরো বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের কো-অর্ডিনেটর আতাউল্যাহ জিহাদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবদুল হামিদ, খোরশেদ মুকুল প্রমুখ। শিক্ষকবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে ১৯৫২ সালের ভাষা শহিদদের কথা তুলে ধরেন। শুদ্ধ বাংলা বলা ও লেখার বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণা দেন।
এর পূর্বে গল্পে, গানে, আবৃত্তিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ স্মরণ করেন ভাষাআন্দোলনের বীর সেনানীদের। ৪টি ধাপে চিত্রাংকন ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় এবং আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামীমা নাসরিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিত মা বোন ও ভাষা শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান শেষে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
Discussion about this post