করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে সরকার।...
Read moreসাইদ শাহীন কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চাল উৎপাদন বাড়ছে বাংলাদেশে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস বলছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) উৎপাদন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন ছড়িয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল উৎপাদনকারী হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে চালের উৎপাদন। দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্যশস্যটি উৎপাদনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান ছিল চতুর্থ। চীন ও ভারতের পরই তৃতীয় স্থানটি ছিল ইন্দোনেশিয়ার। তবে এবার ইন্দোনেশিয়াকে সরিয়ে সেই অবস্থানে উঠে আসছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আবার গত আউশ মৌসুমেও চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে চার লাখ টন বাড়তে পারে চালের উৎপাদন। তিন মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্মিলিত ফলাফলই বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে চলে আসার মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের এ অর্জন নিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের কৃষকরাই এ অর্জনের প্রধান দাবিদার। এর সঙ্গে এ খাতে নিয়োজিত সম্প্রসারণকর্মী, বিজ্ঞানী, গবেষক ও বেসরকারি খাতের অবদান রয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শুধু প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপকরণ, আর্থিক ও নীতিসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সরকারপ্রধান কৃষি ও কৃষকদের জন্য অন্তঃপ্রাণ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশের চাল উৎপাদনে বৈশ্বিক এ সফলতা এসেছে। কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও চাল উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে দেশে। ঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ করে তা আবাদে লবণাক্ত, খরা ও হাওড় অঞ্চলের কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ফলে এসব এলাকায় এখন একটির পরিবর্তে দুটি ধানের আবাদ হচ্ছে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তিনটি ধান করা যায় কিনা, সেটি নিয়েও ভাবছি আমরা। এবার হাওড়ের ধান কাটায় সফলতার জন্য যান্ত্রিকীকরণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কৃষকের জন্য আর্থিক প্রণোদনা থেকে শুরু করে বিপণন, সরবরাহ ও উপকরণের সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছি। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের খাদ্যশস্যের চাহিদা নিজেদের উৎপাদনের মাধ্যমেই পূরণ করতে হবে। বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়ে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় হওয়ার এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্যের উৎপাদনের তুলনা করা হয়েছে। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়াতে পারে চালের উৎপাদন, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি। চীন সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদন করবে। দেশটি চলতি অর্থবছরে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদনের মাধ্যমে শীর্ষে অবস্থান করবে। চীনের পরই আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটির চাল উৎপাদন দাঁড়াবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টন। এর পরই ৩ কোটি ৬০ লাখ টন উৎপাদন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। আর দীর্ঘদিন ধরেই তিন নম্বর স্থানটি দখলে রাখা ইন্দোনেশিয়া এবার চতুর্থ অবস্থানে নেমে আসবে। দেশটিতে চালের উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টন। দেশের উৎপাদিত চালের ৫৫ শতাংশের বেশি আসে বোরো ধান থেকে। বাকিটা আসে আউশ ও আমন থেকে। দেশের জমিগুলোতে বছরে একই জমিতে তিনবার ধান উৎপাদন করা হয়। বিস্তীর্ণ হাওড় এলাকা ধান আবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। এ অঞ্চলের উপযোগী ধানের জাত সম্প্রসারণের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো হচ্ছে। চলতি মৌসুমে হাওড় এলাকায় ধানের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে দেশের চালের উৎপাদনে একটি বড় পরিবর্তন আসতে পারে। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, চলতি অর্থবছরের আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন পেয়েছি। আবার চলতি বোরো মৌসুমে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছে। হাওড়ের শতভাগ ধান কাটা প্রায় সম্পন্ন। একটা মাস ভালো আবহাওয়া পাওয়া গেলে বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। আবার আগামী মৌসুমের জন্য আউশের ব্যাপক প্রণোদনা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ফলে সেখানেও উৎপাদন কয়েক লাখ টন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হব। ফলে চাল নিয়ে ইউএসডিএ যদি এ ধরনের প্রক্ষেপণ দিয়ে থাকে তবে সেটা যথার্থই হয়েছে। যদিও এখনো আমরা প্রতিবেদনটি হাতে পাইনি। ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার চাল উৎপাদনের শীর্ষ ১২টি দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরই থাকছে ভিয়েতনাম। দেশটিতে এবার উৎপাদন দাঁড়াবে ২ কোটি ৭৫ লাখ টন। এছাড়া থাইল্যান্ডে ২ কোটি ৪ লাখ টন, মিয়ানমারে ১ কোটি ৩১ লাখ টন, ফিলিপাইনে ১ কোটি ১০ লাখ টন, জাপানে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টন, পাকিস্তানে ৭৫ লাখ টন, ব্রাজিলে ৬৯ লাখ ও কম্বোডিয়ার প্রায় ৫৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হবে। ইন্দোনেশিয়া চলতি বছর খারাপ পরিস্থিতির কারণে উৎপাদন ধরে রাখতে পারেনি। তবে সামনের বছরে দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তখন বাংলাদেশের জন্য তৃতীয় স্থান ধরে রাখাটা চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক এ প্রসঙ্গে বলেন, কয়েক বছর ধরেই দেশে চালের উৎপাদনে একটি ধারাবাহিকতা আছে। সেটার কারণেই বাংলাদেশের উল্লম্ফনটা এসেছে। তবে সেটি ধরে রাখতে হবে। অর্জনটা ধরে রাখতে হলে কৃষি খাতে গবেষণা যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি সম্প্রসারণে গুরুত্ব দিতে হবে। উন্নত মানের বীজ সরবরাহ বাড়াতে হবে, কৃষকের ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে। শুধু জাত উদ্ভাবনেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। সেগুলোকে কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে। ধানের স্টোরেজ ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। বিপণন ব্যবস্থায় মিলারদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে কৃষক ও সরকারকে আরো শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে। উৎপাদনে কৃষকের খরচ কমিয়ে আনা এবং বিপণন ব্যবস্থায় আরো পদক্ষেপ নিলেই ধরে রাখা যাবে এ অবস্থান।
Read moreনভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ ও দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে বাগেরহাটে সরকারি প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল রামপাল উপজেলার বড় নওয়াবপুর ও ধলদা গ্রামে গিয়ে খুলনা মোংলা রেললাইন ও খানজাহান আলী বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণ করা ২১ জন জমির মালিকের কাছে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ নিজে এ চেক হস্তান্তর করেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এ সম্পর্কে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমরা জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছি। ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের সময় ও অর্থ বাঁচাতে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিপূরণের চেক দিচ্ছি। এখন থেকে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের বাড়িতে গিয়েই ক্ষতিপূরণের চেক দেয়া হবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সামনে ঈদ। এদিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে ঘর থেকে মানুষ বের হতে পারছে না। মানুষ এক ধরনের অর্থ সংকটে রয়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের তাদের ক্ষতিপূরণের চেক পৌঁছে দিচ্ছি। ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের ডিসি অফিসে গিয়ে গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করতে হতো। যার ফলে জমির মালিকদের অর্থ ও সময় দুটোই নষ্ট হতো। এ কথা চিন্তা করে তাদের ভোগান্তি কমাতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাড়িতে বসে ভূমি অধিগ্রহণের চেক পেয়ে খুশি ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা। আজিজুর রহমান, জামিল শেখ ও হাই শেখ বলেন, জমির টাকা পেতে আমাদের অনেক ঘুরতে হতো। ডিসি অফিসে গনশুনানিতে অংশ নিতে হতো। অনেক কাজ নিজেরা বুঝতে পারতাম না। বাধ্য হয়ে দালালদের শরণাপন্ন হতে হতো। জমি অধিগ্রহণের ফলে পাওয়া টাকার একটি বড় অংশ দালাল ও ঘুষ দিতে চলে যেত। এদিকে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে নগদ অর্থের সংকটে ছিলাম। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাড়িতে এসে অধিগ্রহণের চেক দিলেন। এ সময়ে এই চেক পেয়ে আমরা খুব খুশি। এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা হয়রানি থেকে বাঁচবেন।
Read moreনিউজ ডেস্ক নাগরিকদের করোনা পরীক্ষায় ৭টি স্থানে বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) থেকে...
Read moreনিজস্ব প্রতিবেদক দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। সবশেষ তিন দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে তিন হাজার। একইসঙ্গে বাড়ছে মৃতের...
Read moreনিউজ ডেস্ক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজন চিকিৎসক মারা গেছেন। তিনি হলেন প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আবুল মোকারিম মো. মহসিন...
Read moreনিউজ ডেস্ক করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন দিনমজুর, দরিদ্র মানুষদের তালিকা তৈরি করে তাদের ফ্রি সবজিসহ নিত্যপণ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রতিদিন তালিকাভুক্ত...
Read moreঅলিগলি থেকে শুরু করে মার্কেটে কেনাকাটায় সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। দোকানিরা নিয়ম মানলেও মানছেন না ক্রেতারা। পাড়া-মহল্লায় বাড়ছে মানুষের ভিড়।...
Read moreনিজস্ব প্রতিবেদক গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু...
Read moreনিউজ ডেস্ক প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে চলমান অচলাবস্থায় সারাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে এককালীন আড়াই হাজার টাকা করে দেবে সরকার।...
Read moreপ্রধান উপদেষ্টা
জে. চৌধুরী
সম্পাদক ও প্রকাশক
এস.এম.পারভেজ
অনুপ্রেরক
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়্যীদ
অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইব্রাহীম
অধ্যাপক ডক্টর অনুপম সেন
অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ জাফর ইকবাল
অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
ড. মীর আবু সালেহ শামসুদ্দিন শিশির
কার্যালয়: |
৪০৬/এ, তেঁজগাও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ |
✉: |
shiksharalo52bd@gmail.com |
✉: |
shiksharalo.net@gmail.com |
All copy right reserved with INTEL Media and Communication ©2024