#এক্সপ্রেসওয়ে যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ
#মুজিববর্ষ শুরুর প্রাক্কালে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া-ভাঙ্গা রুটে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ১২ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে।
#এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন যুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় লেন বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন এই সড়কের উদ্বোধন করবেন।
#ভ্রমণের সময় কমানোর পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নাগরিকদের জন্য আরামদায়ক ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হয়।
#এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচটি ফ্লাইওভার, ১৯টি আন্ডারপাস এবং প্রায় ১০০টি সেতু এবং কালভার্ট রয়েছে। মাওয়া থেকে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এবং পানছার থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরো খুলনা ও বরিশাল বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের একটি অংশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ছয় জেলার অর্থাৎ মোট ২২ জেলার মানুষ এই এক্সপ্রেসওয়ে থেকে উপকৃত হবেন। আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের দুটি অংশ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর মধ্য দিয়ে সংযুক্ত হবে।
#এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচটি ফ্লাইওভারের একটি হলো ২ দশমিক ৩ কিলোমিটার কদমতলী-বাবুবাজার লিঙ্ক রোড ফ্লাইওভার।
# অন্য চারটি ফ্লাইওভার হলো আবদুল্লাহপুর, শ্রীনগর, পুলিয়াবাজার এবং মালিগ্রামে। এক্সপ্রেসওয়েতে জুরাইন, কুচিয়ামোড়া, শ্রীনগর ও আতাদিতে চারটি রেলওয়ে ওভারব্রিজ এবং চারটি বড় সেতু রয়েছে। সেতুগুলো হলো- ধলেশ্বরী-১, ধলেশ্বরী-২, আড়িয়াল খাঁ এবং কুমার সেতু। #এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ১৫০ কিলোমিটার। এই গতিবেগে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে সর্বোচ্চ ২৭ থেকে ৩০ মিনিট।
সংশ্নিষ্ট সূত্র মতে, ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ হলেও বাকি কাজ শেষ করতে আরও কয়েক মাস পেরিয়ে যাবে বলে জানান সংশ্নিষ্টরা।
Discussion about this post