শিক্ষার আলো ডেস্ক
মাত্র ছয় হাজার টাকা বেতনের চাকরি করতেন নিজে, এখন নিজের কর্মীদের বেতন দিচ্ছেন প্রায় ৯০ লাখ টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে দেশে-বিদেশে তৈরি করেছেন ৬টিরও বেশি অফিস। রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সেই উদ্যোক্তা মূলত একটি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট অফিসে পরিণত করার কাজ করেন। একাত্তরকে জানান, সরকারী-বেসরকারি মিলিয়ে শতাধিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবাকে স্মার্ট করেছেন তিনি।
মাত্র একটি ল্যাপটপ আর দু’জন সহকর্মী নিয়ে দশ বছর আগে নিজ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন উদ্যোক্তা মনোয়ার ইকবাল। শুরুতে অফিস নেওয়ার সামর্থ্য না থাকলেও এখন ৬টির বেশি অফিস তার। কাজ করছেন বিশ্বের ১২টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে।
দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান মনোয়ার এই শহরে পা রাখেন ২০০৪ সালে। ৬ হাজার টাকার বেতনে চাকরি করতে করতেই স্বপ্ন দেখেছেন চাকরিদাতা হবার। এখন তার অধীনেই কাজ করছেন প্রায় ২শ’ কর্মী।
প্রাইডসিস আইটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার ইকবাল বলেন, আমার দাদাবাড়ি-নানাবাড়ির বেশিরভাগ লোক কৃষক পরিবারের।
২০১৩ সালে দারুণ এক আইডিয়া নিয়ে মাঠে নামেন মনোয়ার। সাধারণ একটি প্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে উঠেপড়ে লাগেন। উন্নত বিশ্বে যাকে বলে এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং বা ইআরপি। এই প্রক্রিয়ায় একটি অফিসের জন্য এমনকিছু সফটওয়্যার দেয়া হয়, যেখানে কোনো মানুষ বা কাগজকলম ছাড়াই সেবা মেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ফলে কমে আসে খরচ ও ভোগান্তি, অফিস হয়ে ওঠে স্মার্ট।
মনোয়ার জানান, এরইমধ্যে ৬টি সরকারি এবং তিনশো’র ও বেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিজের এই সেবা পৌঁছে দিয়েছেন।
রাজধানীর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের এই উদ্যোক্তা নিজের প্রতিষ্ঠানের জন্য মূলত সদ্য স্নাতক পাশ করা অভিজ্ঞতাহীন তরুণদেরকেই অগ্রাধিকার দেন। মনোয়ারের এই সাফল্যের খবর পৌঁছে গেছে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর কাছেও।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আমরা সরকার থেকে সাপোর্ট দিচ্ছি।
মনোয়ারের লক্ষ্য নিজের প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করা।
সৌজন্যে-একাত্তর.টিভি
Discussion about this post