বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তরঃ ১৮৬১ সালের ৭ মে(২৫ শে বৈশাখ,১২৬৮) ব্রিটিশ ভারতের কলকাতার ৬ নং দ্বারকানাথ লেনের জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে(পিরলা ব্রাহ্মণ বংশ)জন্মগ্রহণ করেন।এই পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা হলেন নীলমুনি ঠাকুর। জোড়াসাঁকো বর্তমানে উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণীর নিকটস্থ।তাদের পারিবারিক পদবি ছিল কুশারী।তিনি ছিলেন তার পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান ও অষ্টম পুত্র।তারা ছিলেন পনেরজন ভাইবোন।তার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন দার্শনিক ও কবি এবং তার ভগ্নী স্বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম নারী ঔপন্যাসিক(উপন্যাস মেবার রাজ।তবে মেবার পতন নাটকটি ডি এল রায়ের) বিঃ দ্রঃ যেকোন প্রিলিমিনারি গাইড থেকে ঠাকুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে জেনে যাবেন।
২. তিনি কত সালে মৃত্যুবরণ করেন ?
উত্তরঃ ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট(২২ শে শ্রাবণ ১৩৪৮) দুপুর ১২ টা ১০ মিনিটে কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। উল্লেখ্য যে, “২২ সে শ্রাবণ” নামে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের একটি বাংলা মুভি রয়েছে যেখানে কয়েকজন বিখ্যাত লেখকদের জন্ম/মৃত্যু দিবসে একজন মানুষ খুন হয়।
৩.তার পৈত্রিক নিবাস কোথায় ছিল?
উত্তরঃ খুলনার রুপসা উপজেলার পিঠাভোগ গ্রামে।
৪.তিনি কত সালে বিবাহ করেন? তার শ্বশুরবাড়ী কোথায়?
উত্তরঃ ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর(রোকেয়া দিবস ও আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস) খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণ ডিহি গ্রামের ভবতারিণী দেবীকে বিবাহ করেন।বিবাহের পরে রবি ঠাকুর তার নাম পাল্টে রাখেন মৃণালিনী দেবী(মৃণালিনী বঙ্কিম চট্টোপাধ্যায়ের একটী উপন্যাস)।ঠাকুর পরিবারের পারিবারিক রেওয়াজ অনুযায়ী যশোর-খুলনার পিরলা ব্রাহ্মণ কন্যারাই ঠাকুর পরিবারের বধূ হয়ে আসতেন।তাদের ২ পুত্র ও ৩ কন্যা ছিল।
৫. তিনি বাংলাদেশের কোথায় কোথায় গমন করেন ?
উত্তরঃ বাংলাদেশে ঠাকুর পরিবারের জমিদারি থাকায় তিনি ১৮৯০ সালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও নওগাঁর পাতিসর এবং ১৮৯২ সালে কুষ্টিয়ার শিলাইদহে আসেন।
৬. তিনি ঢাকায় কতবার আসেন ?
উত্তরঃ দুইবার। প্রথমবার ১৮৯৮ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে(১৯২৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম প্রলয়শিখা কাব্যগ্রন্থের জন্য গ্রেপ্তার হন)।১৯২৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কার্জন হলে “The Message of Art” শিরোণামে এবং ১৩ ফেব্রুয়ারি “The Rule of the Giant” শিরণামে বক্তৃতা করেন।
৭.রবীন্দ্র সড়ক কোথায়?
উত্তরঃ যশোর। মনিহার সিনেমা হল(বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রেক্ষাগৃহ) থেকে চৌরাস্তার মোড় এর মধ্যে সংযোগকারী সড়ক।
৮. রবীন্দ্র সরোবর কী ?
উত্তরঃ ভারতের একটি জাতীয় হ্রদ।এটি কলকাতার বৃহত্তম হ্রদ।
৯. প্রথম কর্মসমূহ কি কি?
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থঃ কবিতাঃ হিন্দুমেলার উপহার (২৫/০২/১৮৭৪)
প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থঃ কবি কাহিনী (১৮৭৮)
প্রথম প্রকাশিত নাটকঃ বাল্মীকি প্রতিভা (১৮৮১)
প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসঃ বৌ ঠাকুরাণির হাট (১৮৮৩)
প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্পঃ ভিখারিণী (১৮৭৪)
প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধঃ বিবিধ প্রসঙ্গ (১৮৮৩)
১০.রবীন্দ্রনাথ নিজের লেখা কয়টি নাটকে অভিনয় করেন?
উত্তরঃ ১৩ টি ।
১১. গীতাঞ্জলি(১৯১০) কাব্যগ্রন্থের অনুবাদ কে করেন ?
উত্তরঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুবাদকৃত বইটির নাম “Songs Offerings” যা ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডে প্রকাশিত হয়। বইটির ভূমিকা লিখেন আইরিশ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস। তিনি ১৯২৩ সালে নোবেল পুরস্কার পান।১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার পিছনে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য।উল্লেখ্য যে, ২৪/০৩/২০০৪ তারিখে শান্তিনিকেতন থেকে নোবেল চুরি হয়ে যায়।
১২. উৎসর্গকৃত লেখাসমূহ কি কি?
ক) খেয়াঃ বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুকে
খ)বসন্ত নাটকঃ কাজী নজরুল ইসলামকে
গ)তাসের দেশ নাটকঃ সুভাষচন্দ্র বসুকে
ঘ)পূরবী কাব্যগ্রন্থঃ আর্জেন্টিনার কবি ভিক্টোরিয়া ওকাম্পকে উৎসর্গ করেন।রবীন্দ্রনাথ তাকে বিজয়া বলে সম্বোধন করেন।
ঙ)ছিন্নপত্রঃ ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে(প্রথম চৌধুরীর স্ত্রী) উদ্দেশ্য করে লেখা রবীন্দ্রনাথের ১৫৩ টি চিঠি যা ১৮৮৭-১৮৯৫ সময়কালে লেখা হয়।
১৩. আমার সোনার বাংলা সম্পর্কিত তথ্যাবলি :
“আমার সোনার বাংলা” শিরোণামে কবিতাটি লেখেন বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে। এটি ‘গীতবিতান’ কাব্যগ্রন্থের স্বরবিতানের অংশভুক্ত।এটি ১৯০৫ সালে বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে সুরারোপ করলেও এতে বাউল গগণ হরকরার সুরের প্রভাব রয়েছে। এর প্রথম ১০ লাইন আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় যার ইংরেজি অনুবাদ করেন সৈয়দ আলী আহসান।
১৪. উপাধিসমূহ কি কি?
নাইট উপাধিঃ ব্রিটিশ সরাকার কর্তৃক নাইট স্যার উপাধি পান ০৩/০৬/১৯১৫ এবং জালিয়ানবাগ (১৩/০৪/১৯১৯)হত্যাকান্ডের জন্য ৩০/০৫/১৯১৯ এই উপাধি ত্যাগ করেন।
বিশ্বকবিঃ পন্ডিত রোমান ক্যাথলিক ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় বিশ্বকবি উপাধি দেন।
৩য় শ্রেষ্ঠ বাঙালিঃ ২০০৪ সালের বিবিসি বাংলা জরিপে তিনি সর্বকালের ৩য় শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে স্থান লাভ করেন।
বিবিধঃ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বনামঃ ব্রহ্মচর্যাশ্রম বাংলাদেশ,ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতের রচয়িতা হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিখ্যাত একটি উক্তিঃ “মানুষের ওপর বিশ্বাস হারানো পাপ”-সভ্যতার সংকট প্রবন্ধে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
১. কাজী নজরুল ইসলামের পৈত্রিক নিবাস,জন্মস্থান ও শ্বশুর বাড়ি কোথায়?
উঃ ১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।তার স্বশুর বাড়ি কুমিল্লার দৌলতপুরে।তবে প্রমীলা দেবীর সাথে বিবাহ হয় কলকাতায়।
২. তার স্ত্রীদের নাম, সন্তানদের নাম কি? তিনি স্ত্রী–সন্তানকে আদর করে কি নামে ডাকতেন?
উঃ ১৯২১ সালে মুসলিম সাহিত্য সমিতির গ্রন্থ প্রকাশক আলী আকবর খানের ভগ্নী নার্গিস আসার খানম/নার্গিস বেগমের সাথে(প্রকৃত নাম সৈয়দা হক) বিবাহ ঠিক হয়।তবে ঘরজামাই থাকা নিয়ে সমস্যার জন্য কাবিনের বেশি আগায়নি।কবি তাকে ইরানি ফুল নার্গিসের নামে ডাকতেন।১৯২৪ সালের ২৪/২৫ এপ্রিল বিরজা সুন্দরীর(যার শরবত খেয়ে নজরুল অনশন ভেঙ্গে ছিলেন) ভাসুরের মেয়ে আশালতা সেনগুপ্তের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।নজরুল বিবাহের পরে তার নাম রাখেন প্রমীলা দেবী।তবে তিনি তাকে দুলু বা দুলি নামে ডাকতেন।
সন্তানদের নামঃ
ক)কৃষ্ণ মোহাম্মাদ(শীশুকালে মারা যায়)
খ)অরিন্দম খালেদ(৪ বছর বয়সে বসন্ত রোগে মারা যায়)।কবি তাকে বুলবুল নামে ডাকতেন।বুলবুল নামে একটা গানের সংকলন আছে।
গ)কাজী সব্যসাচী(১৯২৯-১৯৭৯)
ঘ)কাজী অনিরুদ্ধ (১৯৩২-১৯৭৪)
৩.নজরুল কতবার ঢাকায় আসেন?কত বার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন?কতবার কুমিল্লায় আসেন?প্রথম কবে বাংলাদেশে আসেন?(স্বাধীন হওয়ার আগে)
উঃ ঢাকায় আসেন ১৩ বার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন ৫ বার।কুমিল্লায় আসেন ৫ বার।ঢাকায় প্রথম আসেন ১৯২৬ সালের জুন মাসে শেষ সপ্তাহে।
৪. নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত স্থান কি কি?
উঃ কুমিল্লা,সিরাজগঞ্জে(যেখানে ১৯৩২ সালে মুসলিম যুব সমাজের উদ্দেশ্যে যৌবনের গান পাঠ করেন)ও ত্রিশাল(ময়মনসিংহ)।
৫. দরিরামপুরের সেই পুলিশ অফিসারের নাম কি?তার স্ত্রীর নাম কি ছিল?
উঃকাজী রফিজ উদ্দিন।তার স্ত্রীর নাম শামসুন্নেসা।
৬. রণসঙ্গীত কত সালে লেখেন?
উঃনতুনদের গান শিরোনামে ১৯২৮ সালে শিখা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।এটি সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।এই কবিতার প্রথম ২১ লাইন ১৯৯৬ সালের ৫ ডিসেম্বর পদাতিক বাহিনীর রণসংগীত হিসেবে গৃহীত হয়।
৭. কতবার কারাবরণ করেন?
উঃ২ বার।আনন্দময়ীর আগমনে ও বিদ্রোহী কবিতার জন্য ১ বছর(গ্রেপ্তার হোন ১৯২৩ সালে) এবং প্রলয়শিখা রচনার জন্য ৬ মাস।(গ্রেপ্তার হোন ১৯২৬ সালে)।
৮. খিলাফত আন্দোলন সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি কেমন ছিল?তিনি কাকে সমর্থন করতেন?
উঃ কাজী নজরুল ইসলাম মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ,মাওলানা শওকত আলী ও মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে খিলাফত আন্দোলনে আস্থাশীল ছিলেন না।স্বদেশে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বরাজ বা স্বাধীনতা অর্জন আর মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্কের সালতানাত উচ্ছেদকারী নবয তুর্কি আন্দোলনের প্রতি নজরুলের সমর্থন ছিল।তথাপি ভারতের ভারতের হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সম্মিলিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামের জন্য তিনি এই দুটি আন্দোলনে যোগ দেন।
৯. উৎসর্গীকৃত লেখাগুলো
ক)অগ্নিবীণা- বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
খ)সঞ্চিতা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ)চিত্তনামা-বাসন্তী দেবী(দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের স্ত্রী।নজরুল তাকে মা বলে ডাকতেন।)
১০. কতসালে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়? কত সালে নাগরিকত্ব দেয়া হয়?
উঃ ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে দেশে নিয়ে আসা হয়।১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে পদক দেয়া হয়।
১১. ২০০৪ সালের বিবিসি জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় ৩য় স্থান লাভ করেন।১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জগত্তারিণী পদক ,১৯৬০ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ পদক লাভ করেন।
উল্লেখ্য যে কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়নি।সেটা নিয়ে নজরুল ইন্সটিটিউট এর পরিচালক আক্ষেপ করে পত্রিকায় কলাম ও লিখেছিলেন।
বিসিএস প্রিলি. প্রস্তুতি -(বাংলা সাহিত্য)
বিসিএস-সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য বাংলা বিভাগ থেকে আধুনিক যুগ অংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ; বিসিএসের সিলেবাসে এ অংশের নম্বর ১৫। এ অংশ মূলত অসংখ্য কবি-সাহিত্যিক নির্ভর।অনেকে সবার সব পড়তে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন। এখানে কবি-সাহিত্যিকদের জীবনকাল, তাদের সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য তথ্য (যেখানে শুধু,নাম আর সাল যা খুবই বিরক্তিকর) জানতে হবে।কিন্তু কতজনকে কতটুকু পড়তে হবে এ বিষয়ে অনেক পরীক্ষার্থীরই নেই কোন সুস্পষ্ট ধারণা। আশা করি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা দুর্দান্ত ফল পাবেন।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত : কল্লোল গোষ্ঠীর এ লেখকের ‘বেদে’ নামে একটি বিখ্যাত উপন্যাস আছে। এটি তার প্রথম উপন্যাসও বটে। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ হল ‘অমাবস্যা’।
অতুলপ্রসাদ সেন: তিনি কবি,গীতিকার ও গায়ক হলেও সুরকার ও গীতিকার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধি অর্জন করেছেন। তিনি প্রায় ২০০টি গান রচনা করেছেন।ষাটের দশকে পূর্ব বাংলায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকারীদের মনে উদ্দীপনার সঞ্চার করেছিল তার “মোদের গরব, মোদের আশা,আমরি বাংলা ভাষা” গানটি।
অদ্বৈত মল্লবর্মণ : বিখ্যাত ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ (১৯৫৬) উপন্যাসটি তিনি রচনা করেছেন।এটি ৪ খণ্ডে প্রকাশিত।
অন্নদাশঙ্কর রায়: ছদ্মনাম : লীলাময় রায়( লীলা রায় তার স্ত্রীর নাম)। তার উল্লেখযোগ্য ভ্রমণকাহিনি হল ‘পথে প্রবাসে'(ফ্রান্সে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা), ইউরোপের চিঠি। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা তার বিখ্যাত কবিতা – “যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান । ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান”
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস: মূলত কথাসাহিত্যিক। উপন্যাস: চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭)।ঊনসত্তরের গন-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত মহাকাব্যিক উপন্যাস। খোয়াবনামা ( ১৯৯৬)। গ্রাম বাংলার নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের জীবনালেখ্যসহ ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ,আসামের ভূমিকম্প,তেভাগা আন্দোলন,১৯৪৩-এর মন্বন্তর,পাকিস্তান আন্দোলন ও সাম্প্রদায়িক দাঙা ইত্যাদি ঐতিহাসিক উপাদানের অবলম্বনে এ উপন্যাস রচিত। ছোটগল্প: অন্য ঘরে অন্য স্বর,খোঁয়ারি, দুধভাতে উৎপাত,দোযখের ওম। প্রবন্ধগ্রন্থ : সংস্কৃতির ভাঙা সেতু।
আনোয়ার পাশা : কবি, সাহিত্যিক,সমালোচক ও শিক্ষাবিদ।মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সিনিয়র লেকচারার ছিলেন।উপন্যাস: নীড় সন্ধানী,নিষুতি রাতের গাথা, রাইফেল রোটি আওরাত (মুক্তিযুভিত্তিক উপন্যাস -১৯৭৩)। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়াটার্স থেকে পাক হানাদার বাহিনীর অনুগত আলবদর সদস্যরা তাকে ঢাকার মিরপুরের বদ্ধভূমিতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে।
আবদুল কাদির: মুসলিম সাহিত্য সমাজ থেকে প্রকাশিত ‘শিখা'(১৯২৭) পত্রিকার প্রকাশক ও লেখক ছিলেন। তার ‘ছন্দ-সমীক্ষণ’ গ্রন্থে বাংলা ছন্দের সামগ্রিক রূপটি বিশ্লেষণের প্রয়াস আছে।তাকে ‘ছান্দসিক কবি’ বলা হয়।
আবদুল মান্নান সৈয়দ: ছদ্মনাম : অশোক সৈয়দ। তাকে ‘শুদ্ধতম কবি’ বলা হয়। ‘শুদ্ধতম কবি’ নামে তার একটি প্রবন্ধগ্রন্থ আছে।
আবদুল্লাহ আল–মুতী শরফুদ্দীন: তিনি মূলত বিজ্ঞানলেখক। তার বিজ্ঞানভিত্তিক গ্রন্থ – ‘এসো বিজ্ঞানের রাজ্যে’ (প্রথম গ্রন্থ), ‘তারার দেশের হাতছানি’।
আবু ইসহাক: শরীয়তপুরে জন্ম নেয়া আবু ইসহাকের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী'(১৯৫৫)।উপন্যাসটি বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের এক বিশ্বস্ত দলিল।জয়গুন,তার ছেলে হাসু,মায়মুন এ উপন্যাসের চরিত্র। এছাড়াও ‘পদ্মার পলিদ্বীপ’ ও ‘জাল’ তার আরো দুটি উপন্যাস।
গল্পগ্রন্থ: ‘হারেম’ ও ‘মহাপতঙ্গ’। ‘জোঁক’ গল্পে মহাজন ও বর্গাচাষীদের চিরন্তন বিরোধ চিত্রিত হয়েছে।
Discussion about this post