অ
অরাঁধুনির হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে–অযোগ্য
লোকের
হাতে
পড়ে
ভাল
জিনিসও
নষ্ট
হয়।
অর্থই অনর্থের মূল-অর্থের
কারণেই
যত
গোলমালের সৃষ্টি।
অতি দর্পে হত লঙ্কা-অহঙ্কারই পতনের
মূল
অতি লোভে তাঁতি নষ্ট–বেশি
লোভে
সর্বস্ব হারাতে
হয়
অতি চালাকের গলায় দড়ি–বেশি
চালাকি
করে
অন্যকে
ঠকাতে
গেলে
অনেক
সময়
নিজেকে
ঠকতে
হয়
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ–বেশি
বেশি
শ্রদ্ধা দেখালে
বুঝতে
হবে
যে
ভিতরে
গুপ্ত
রহস্য
আছে।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী–অল্প
বিদ্যার অতি
দর্প।
অনেক সন্যাসীতে গাজন নষ্ট–অনেক
লোক
হলে
কাজে
বিশৃঙ্খলা হয়।
আ
আটে পিঠে দড়,তবে ঘোড়ার উপর চড়–কোনও
কাজ
করার
যোগ্য
না
হলে,সে কাজ করতে
যাওয়া
ঠিক
নয়।
অাদার ব্যাপারির জাহাজের খবর–অনধিকার চর্চা
করা।
আপনি শুতে ঠাই নেই,শঙ্করাকে ডাকে–নিজের
আয়
দিয়ে
নিজে
চলতে
পারে
না,অথচ অন্যের জন্য
খরচ
করে।
আমে দুধ এক হল,আঁটি খোসা পড়ে র’ল–যার
জন্যে
দুই
পক্ষের
মধ্যে
বোঝাপড়া হয়ে
গেল
,সেই
অবাঞ্ছিত বলে
গণ্য
হলো।
আড়ালে লোকে রাজার মাকেও ডাইনি বলে –অসাক্ষাতে অন্যের
নিন্দা
সবাই
করে।
আপনি বাঁচলে বাপের নাম–চাচা
আপন
প্রাণ
বাঁচা
ই
ইঁদুরে চেনে না ভাগবত পুঁতি–মূর্খ
ব্যক্তি গুণীর
গুণ
বোঝে
না।
ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়–পরের
অনিষ্ট
করলে
নিজেরও
অনিষ্ট
হয়।
উ
উড়ো খই গোবিন্দায় নম:-যে
খই
হাত
থেকে
বাতাসে
উড়ে
গেল
তা
গোবিন্দের নামে
নিবেদন।
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়–কাজের
আরম্ভ
দেখে
কাজের
শেষ
চেনা
যায়।
ক
কেউ মরে বিল ছেঁচে ,কেউ খায় কৈ–একের
পরিশ্রমে অন্যের
বিলাসিতা।
কপাল গুনে গোপাল ঠাকুর–কপালে
থাকলে
যোগ্যতাহীন লোকও
বড়
হয়।
কানা গরু বামনকে দান–অকেজো
জিনিস
দান
করে
,দানের
পূন্য
লাভের
চেষ্টা
করা।
কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরোলে পাজি–প্রয়োজনের সময়
আদর,প্রয়োজন শেষে অবজ্ঞা।
কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস–যার
যেখানে
প্রভূত্ব সেখানে
তার
সঙ্গে
বিবাদ
করে
থাকা
যায়
না।
কারো পৌষ মাস ,কারো সর্বনাশ–একের
লাভে
অন্যের
ক্ষতি।
কেঁচো খুঁড়তে সাপ–তুচ্ছ
বিষয়
নিয়ে
ঘাটাঘাটি করতে
গিয়ে
বৃহৎ
সমস্যার উদ্ভব।
কাঙালের কথা বাসি হলে খাটে–গুরুত্ব না
দেওয়া
লোকের
কথার
দাম
বিপদে
পরলেই
বোঝা
যায়।
কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না–সাধনা
ছাড়া
সাফল্য
লাভ
করা
যায়
না।
গ
গোনা গরু বাঘে খায় না–হিসাবের গরু
বাঘে
খায়
না।
গরু মেরে জুতা দান–কারো
ক্ষতি
করে
সামান্য উপকার
করা।
গাছেরও খায় তলারও কুড়োয়–একই
সঙ্গে
একাধিক
স্বার্থসিদ্ধি করা।
গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল–অন্যে
না
মানলেও
নিজেকে
বড়
মনে
করা।
ঘ
ঘরের খেয়ে বনের মো্ষ তাড়ানো–নিজের
ক্ষতি
করে
অন্যের
উপকার
করা।
ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়–বড়
বিপদের
অভিজ্ঞতা অকারণেই ভীত
করে
তোলে।
চ
চকচক করলেই সোনা হয় না–চেহারাতে আসল
গুণ
ধরা
যায়
না।
চাচা আপন প্রাণ বাঁচা–অাগে
নিজের
প্রাণ
রক্ষা
তারপর
অন্যকে
সাহায্য।
চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী–উপদেশ
দিয়ে
অসৎকে
সৎ
করা
যায়
না।
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না–যোগ্য
লোকের
জন্য
সুপারিশ লাগে
না্
চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে–ঘটনা
ঘটে
যাবার
পর
তা
এড়াবার
পথ
পাওয়া।
চোরে চোরে মাসতুতো ্রভাই–অপরাধীরা একে
অন্যের
সাহায্যকারী হয়।
ছ
ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি–কোন
অবাঞ্ছিত ঝামেলা
থেকে
মুক্তি
পাওয়ার
আকুলতা।
ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো–দয়াপ্রার্থী হয়ে
ঢুকে
বিরাট
ক্ষতি
করে
চলে
যাওযা।
ঠ
ঠগ বাছতে গাঁ উজোর–যেখানে
মন্দের
সংখাধিক্য সেখানে
ভাল
বাছাই
করা
যায়
না।
ত
তপ্ত ভাতে নুন জোটে না,পান্তা ভাতে ঘি–প্রয়োজনীয় কাজ
সামলাবার সামর্থ
নেই
যখন,তখন অপ্রয়োজনীয় কাজে
ঝোঁক
দেখানো।
তুমি ফের ডালে ডালেে,আমি ফিরি পাতায় পাতায়–চালাকের চেয়েও
বেশি
চালাকি
করা।
দ
দুধের সাধ ঘোলে মেটে না –আসল
জিনিসের আনন্দ
নকলে
পাওয়া
যায়
না।
দশের লাঠি একের বোঝা–একজনের
পক্ষে
যা
সম্ভব
নয়
দশ
জনের
পক্ষে
তা
অনায়াসেই সম্ভব।
দশ চক্রে ভগবান ভূত–একাধিক
লোক
মিরে
ভালকেও
মন্দ
বলে
প্রতিপন্ন করা্
ধ
ধর্মের ঢাক আপনি বাজে– শেষ
পর্যন্ত সত্য
প্রকাশ
পাবেই।
ন
নেড়া দুবার বেল তলায় যায় না–একই
বিপদে
মানুষ
বারবার
পতিত
হয়
না।
নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা–অকেজো
লোক
কাজের
অসাফল্যের জন্য
অন্যকে
দোষ
দেয়।
নুন খায় যার গুণ গাই তার–উপকারীর উপকার
করা।
নুন আন্তে পান্তা ফুরোয়–প্রবল
দারিদ্রে দিন
অতিবাহিত করা।
প
পেটে খেলে পিঠে সয়– লাভের প্রত্যাশায় কষ্ট
সহ্য
করা।
পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়–অসৎ
উপায়ে
অর্জি
ত
ধন
অসৎ
পথেই
ব্যয়িত
হয়।
পরের ঘারে বন্দুক রেখে শিকার–অন্যের
উপর
দায়
রেখে
স্বার্থ উদ্ধার
ব
বিনা মেঘে বজ্রপাত–অকস্মাৎ বিপদ
উপস্থিত হওয়া।
বজ্র আটুনি ফস্কা গেরো–ছোটখাট
ব্যয়ে
কৃপণতা
করা
অথচ
বড়
বড়
ব্যাপারে এককালীন অধিক
ব্যয়
করা।
বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড়–বাপের
চেয়ে
ছেলের
তেজ
বেশি।
বসতে পেলে শুতে চায়–কিছু
সুবিধা
পেলে
আরো
অধিক
সুবিধা
দাবি
করা।
ভ
ভিক্ষের চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া–দয়ার
-দানের
ভাল-মন্দ বিচার চলে
না।
ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয়–ভাগ্যবান লোকের
কোথাও
আটকায়
না।
ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না–টাকা
থাকলে
কাজের
লোকের
অভাব
হয়
না।
ম
মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত– কার্য ক্ষমতার নির্দিষ্ট সীমা।
মরা হাতি লাখ টাকা–মূল্যবাণ বস্তুর
কিছু
ক্ষতি
হলেও
বাুকি
অংশের
মূল্য
থাকে
প্রচুর।
মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন–কোন
কাজ
সম্পাদন করার
জন্য
দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হওয়া।
য
যে যাই লঙ্কায় সেই হয় রাবণ–ক্ষমতা
লাভ
করলে
সব
লোকের
স্বভাব
এক
রকমই
হয়।
যত গর্জে তত বর্ষেনা–আড়ম্বর
অনুযায়ী কাজ
না
হওয়া।
যার লাঠি তার মাটি–জোর
যার
মুল্লুক তার
যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা–যাকে
পছন্দ
হয়
না
,তার
প্রত্যেক কাজেই
দোষ।
যার জ্বালা সেই জানে–ভুক্তভুগিই যথার্থ
দু:খ অনুভব করতে
পারে।
র
রাজায় রাজায় যুদ্ধ উলু খাগড়ায় প্রাণান্ত–ক্ষমতাবানদের দ্বন্দ্বের ফলে
সাধারণ
লোকের
জীবন
বিপন্ন
হওয়া।
রথ দেখা কলা বেচা–এক
ঢিলে
দু
পাখি
মারা
স
সবুরে মেওয়া ফলে–ধৈর্যে
সুফল
আসে।
সস্তার তিন অবস্তা– সস্তার
জিনিস
প্রায়ই
খারাপ
হয়।
সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়–বোকামির কারণে
ঝামেলায় জড়িত
হয়ে
পড়া।
সাপ হয়ে কাটো তুমি,ওঝা হয়ে ঝাড়ো–উভয়
পক্ষের
পরামর্শদাতা হিসাবে
যে
কপটতা
করে।
সময়ের এক ফোড় অসময়ের দশ ফোড়–সময়
থাকতে
সাবধান
হলে
বিপদকালে রেহাই
পাওয়া
যায়।
সাপের হাঁচি বেদেই চেনে–অভিজ্ঞ
লোক
আভাস
পেলেই
ব্যাপারটা বুঝে
নিতে
প
হ
হাতির পাঁচ পা দেখা–সৌভাগ্য গর্বে
অতিশয়
বাড়াবাড়ি।
হাতে মারে না ,ভাতে মারে–সরাসরি
কোন
শত্রুতা না
করে
অলক্ষে
সর্বনাশ করা।
Discussion about this post