রবিউল আলম লুইপা
৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ হলো ২০ জানুয়ারি। প্রিলিতে পাস না করা অনেক প্রার্থীরাই ফেসবুকে হা-হুতাশ করছেন, অনেকে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। অথচ এই একটা পরীক্ষা বা বিসিএসই জীবনের শেষ বা একমাত্র গন্তব্য না, আরো অনেক পথ খোলা আছে। অথবা, পরবর্তীতেও আরো ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ারও সুযোগ (বয়স থাকলে) আছে।
আজ নিজের অভিজ্ঞতা ও প্রত্যক্ষ করা ঘটনা থেকে কিছু পরামর্শ দেবো, যা অনেকেরই কাজে আসবে।
আমি বিসিএস ক্যাডার হওয়ার আগে ৩ বছর বেকার ছিলাম, পদে পদে অনেক হোঁচট খেয়েছি, কষ্ট পেয়েছি। সময়ের ব্যবধানে সব ভুলে পরে নতুন করে শুরু করেছি। যারা এই প্রিলিতে খারাপ করেছে, মন খারাপ হওয়াটা স্বাভাবিক হলেও ভেঙ্গে পড়বেন না। নতুন প্রস্তুতি পরিকল্পনা ঠিক করুন।
সবচেয়ে বড় কথা, প্রিলিতে খারাপ করলেও অনেক প্রার্থীরই প্রিলির সিলেবাসের অনেকাংশ পড়া হয়ে গেছে! বিসিএসের প্রিলির প্রস্তুতি দিয়ে সরকারি ব্যাংকের প্রিলিগুলোও টিকে যাওয়া সম্ভব। এছাড়া পরবর্তী বিসিএসে প্রিলির প্রস্তুতি নিতে খুব একটা বেগ পেতে হবে না, তবে এবারের প্রস্তুতিতে যে ভুলগুলো ছিল, সেগুলো পরেরবার সংশোধন করে নিতে হবে।
৪৪তম বিসিএসের প্রিলির তারিখ ঘোষণা দিলে, স্রেফ রিভাইস দিলেই প্রস্তুতি হয়ে যাবে অনেকের।
যদি আমার বেলায় এমন হতো, অর্থাৎ প্রিলিতে খারাপ করতাম, তাহলে মনে মনে ভাবতাম, হয়তো আমি ২-১ নম্বর পিছিয়ে থাকার জন্য টিকিনি, হয়তো এক্সাম হলে কয়টা উত্তর করবো বুঝে উঠতে না পেরে নিগেটিভ মাইনাস খেয়েছি। এরপর প্রিলি উত্তীর্ণদের সাথে আমিও রিটেন পড়তাম, হয়তো প্রিলির রেজাল্ট গোপন করে কোন কোচিং সেন্টারে লিখিত প্রোগ্রামে ভর্তিও হতাম।
প্রিলিতে ফেল করার পরও যদি প্রার্থী রিটেনে প্রস্তুতি যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নেয়, তাহলে পরবর্তী বিসিএসে প্রিলিতে পাস করলেই অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন, তাছাড়া অন্যান্য চাকরির পরীক্ষায়ও এই প্রস্তুতি কাজে আসবে।
বিসিএসের বাইরেও সরকারি ব্যাংক, দুদক, এনএসআই, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড সহ সকল পরীক্ষায় ভাইভা দিতে চাইলে লিখিত পরীক্ষায় ভাল করতে হয়, যা বিসিএস লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি দিয়েই সেরে ফেলা যায়।
লেখক : রবিউল আলম লুইপা, ৩৫তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা)
Discussion about this post