নিজস্ব প্রতিবেদক
আগামী এক মাসের মধ্যেই চিকিত্সকদের জন্য ৪২তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে ৩৮তম বিসিএসের নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির তালিকা প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে। পিএসসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পিএসসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ৪২তম বিসিএসের মাধ্যমে আরো ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগ দেওয়া হবে। সরকারের চাহিদা অনুযায়ী বিধিমালা সংশোধনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিধিমালা সংশোধনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিধিমালা সংশোধন হয়ে পিএসসিতে এলে বিসিএসের ক্রমিক নম্বর ফেলে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার চিকিত্সক নিয়োগের সুপারিশ পিএসসিতে পাঠানো হয়। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা প্রদানের জন্য ২ হাজার পদ সৃজনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত ৬ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠালে ১০ জুন অর্থ বিভাগ অনুমোদন দেয়। গত ১৮ জুন প্রধানমন্ত্রী এতে অনুমোদন দেন।
অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেই ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেবে পিএসসি। আগামী মাসে সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা আছে। গত এপ্রিল মাসে এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হয়নি। প্রায় সাড়ে ৪ লাখের মতো পরীক্ষার্থী এই প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ১৬৬ শূন্যপদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন।
সেপ্টেম্বরের প্রথমে ৩৮তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল: আগামী সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে ৩৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ কিন্তু ক্যাডার পাননি এমন অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নন-ক্যাডার প্রথম শ্রেণির পদে নিয়োগের সুপারিশ করবে পিএসসি। ইতিমধ্যে প্রায় ৭৫০ প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার পদের শূন্য তালিকা পিএসসিতে এসেছে। এর মধ্যে ৬৪৪টি চিকিত্সক পদ।
এ বিষয়ে পিএসসির একজন সদস্য বলেন, নন-ক্যাডারের প্রথম শ্রেণির তালিকা প্রকাশের আগের দিন পর্যন্ত শূন্য পদের চাহিদা এলে তা সমন্বয় করে ফল প্রকাশ করা হবে। চেষ্টা থাকবে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রার্থীকে চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া।
গত ৩০ জুন ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৩৭৭ জনের মধ্যে থেকে ২ হাজার ২০৪ জন ক্যাডার নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হন। বাকি প্রায় ৬ হাজার আছেন নন-ক্যাডারের অপেক্ষমাণ তালিকায়।
Discussion about this post