নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই পত্রিকা এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এসব পদে চাকরিপ্রত্যাশীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
এক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা দিবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।
এজন্য কোম্পানিটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদের উপস্থিতিতে পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) খালিদ আহমেদ টেলিটকের সাথে এই সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করেন।
এর আগে গত রবিবার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ সংবাদমাধ্যমে বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জারির পর আমরা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কাজ শুরু করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মধ্যেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
তথ্যমতে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শূন্যপদে ৩২ হাজার ৫৭৭ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। এসব পদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক স্তরের জন্য ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক স্তরের জন্য সহকারী শিক্ষক হিসেবে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্ততর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ এবং গত জুন মাস থেকে এখন পর্যন্ত সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে এসব পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই সর্বশেষ সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ৫৫ হাজার ২৯৫ জন, নিয়োগে দেওয়া হয় ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে। এর আগে একই বছর ২০১৪ সালের স্থগিত পরীক্ষাটিও নেওয়া হয়। ওই পরীক্ষায় মোট উত্তীর্ণ হন ২৯ হাজার ৫৫৫ প্রার্থী। এর মধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয় ৯ হাজার ৭৬৭ জনকে।
এই দুই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত নির্বাচিত না হওয়ায় নিয়োগ পাননি ৫৬ হাজার ৯৩৬ প্রার্থী। উত্তীর্ণ এসব প্রার্থীরা ২০১০-২০১১ সালের মতো প্যানেল নিয়োগ চান। তবে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, প্যানেলে নিয়োগ দেওয়া হবে না। নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
Discussion about this post