#নিয়োগ_পরীক্ষা ২ ধাপে হয়ঃ ১। লিখিত (শুধু প্রিলি) ২। মৌখিক/ভাইভা (তবে জুনিয়র অডিটর নিয়োগে কম্পিউটার অপারেটিংয়ের উপর এক্সট্রা একটা ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে হয়) বিগত পরীক্ষাগুলোয় দেখা গেছে, অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পদের লিখিত পরীক্ষা(MCQ) হয় ৭০ নম্বরের।
অডিটর পদে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন হয়ে থাকে। তবে মাঝেমধ্যে দৈনন্দিন বিজ্ঞান থেকেও প্রশ্ন আসে। আর জুনিয়র অডিটর পদে বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি কম্পিউটার থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা অংশে সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন হয়।
বিখ্যাত সাহিত্যিক ও সাহিত্যকর্ম, চরিত্র, উক্তি,শুদ্ধ বানান, পদ, প্রবাদ প্রবচন, সন্ধিবিচ্ছেদ, বাক্য গঠন, সমাস, উপসর্গ, লেখকের ছদ্মনাম ইত্যাদির ওপর প্রশ্ন হয়ে থাকে। প্রফেসর’স/অগ্রদূত বাংলা / জর্জ এমপিথ্রি প্রিলিমিনারি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য’ বইটি দেখতে পারেন।
গ্রামার থেকে প্রশ্ন আসে ইংরেজি অংশে। প্রশ্নে সাধারণত ফ্রেইজ অ্যান্ড ইডিয়মস, কারেকশন, ফিল ইন দ্য ব্লাংক, পেয়ার অব ওয়ার্ড, সাবজেক্ট ভারব অ্যাগ্রিমেন্ট, সিনোনিমস অ্যান্ড অ্যান্টোনিমস, সেন্টেন্স মেকিং থাকে। এ অংশের জন্য পড়তে পারেন প্রফেসরসের ‘ইংলিশ ফর কমপিটেটিভ এক্সামস’ বইটি। সাধারণ জ্ঞান থেকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন হতে দেখা যায়। প্রশ্ন হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে। প্রফেসর’স/ জর্জ এমপিথ্রি প্রিলিমিনারি সিরিজের বইগুলো পড়া যায়। জোর দিতে হবে বিগত বছরের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নের উপর। সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা জানতে মাসিক সাময়িকীগুলো পড়লে ভালো ফল পাবেন। গণিত অংশে সাধারণত সুদ-আসল, লসাগু-গসাগু, সংখ্যা, স্থানাঙ্ক, মান নির্ণয়, ত্রিভুজ, কোণসম্পর্কিত প্রশ্ন হয়। এ অংশের জন্য আয়ত্তে রাখতে হবে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির গণিত বইগুলো। পাশাপাশি প্রফেসর’স প্রকাশনীর জব সলিউশন পড়তে পারেন।
জুনিয়র অডিটর প্রার্থীদের বাড়তি কম্পিটারের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এ অংশের জন্য কাজে আসবে ‘ইজি কম্পিউটার’ বইটি। #ভাইভা অডিটর ও জুনিয়র অডিটর নিয়োগের ভাইভা বোর্ডে যে ধরনের প্রশ্ন করতে পারে-
১। আপনার পরিচিতি সংক্রান্ত: আপনার নাম, ঠিকানা(জেলা, থানা বা গ্রাম), আপনার বাবার নাম, মায়ের নাম, তাদের পেশা, আপনার বর্তমান পেশা ও আপনি বর্তমানে কি করছেন? মহাপরিচালকের নাম কি
২। লিখিত পরীক্ষা সংক্রান্ত: লিখিত পরীক্ষায় যে সকল প্রশ্ন আপনি উত্তর দিতে পারেন নি, বা যে উত্তর গুলো সঠিক দিয়েছিলেন সেখান থেকেও আপনাকে প্রশ্ন করতে পারে।
৩। আপনি কোন বিষয়ে লেখা পড়া করেছেন? আপনার বিষয়ের উপর পরীক্ষক আপনাকে প্রশ্ন করবেন। যেমন: আপনার বিষয় যদি হয় ইতিহাস তবে আপনাকে ইতিহাস হতে প্রশ্ন করা হবে, যদি হয় অর্থনীতি তবে অর্থনীতি হতে প্রশ্ন করা হবে।
৪। Accounting কি? কাকে বলে? Pre Audit কি? Post Audit কি? ইত্যাদি বিষয়গুলো হতে প্রশ্ন হতে পারে। Auditor কাকে বলে? Audit ও Auditor এর মধ্যে পার্থক্য কি? Direct cost or Indirect cost এর মধ্যে পার্থক্য কি? Process Costing কি?
৫। বাংলা হতে ইংরেজী অনুবাদ করুন! অথবা ইংরেজী হতে বাংলা অনুবাদ।(অনুবাদের ক্ষেত্রে হুট করে উত্তর দিবেন না, কিছুটা সময় নিয়ে উত্তর দিন! এর উত্তর ভুল হলে পরীক্ষকগন সহজ ভাবে নিতে পারেন না )
৬। বীজগনিত এর সহজ কোন সূত্র জিজ্ঞেস করতে পারে।
৭। বাংলাদেশের ইতিহাস হতে প্রশ্ন হতে পারে। বর্তমানে দেশের সংসদ, সাংসদ, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ন পদে যারা আছেন তাদের নাম মনে রাখা জরুরী। আর যারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পরীক্ষা দিবেন তারা মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ দিন তারিখ ও ব্যক্তির নাম মনে রাখবেন। পাশাপাশি আপনি যার “মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট” নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছেন তার সেক্টর, সেক্টর কমান্ডার হতে শুরু করে দিন তারিখমনে রাখবেন।
৮। পাটিগণিত হতে সহজ অংক জিজ্ঞেস করতে পারে, সাধারনত শতকরা হার, ট্রেনের গতি, বানরের বাঁশ বেয়ে উঠা বহুল প্রচলিত অংকগুলো মুখে জিজ্ঞেস করতে পারে! সাথে সাথে সঠিক উত্তর দিতে পারাটা আপনার জন্য পজেটিভ।
এছাড়া জুনিয়র অডিটর পদে সবাইকে কম্পিউটারে টাইপিং পরীক্ষা দিতে হবে। টাইপিং বাংলা এবং ইংরেজী ২ টাই দিতে হবে! সময় নির্দিষ্ট করা থাকবে। উক্ত সময়ের মধ্যেই টাইপ শেষ করতে হবে। টাইপের পাশাপাশি আপনাদের ভাইভা পরীক্ষাও দিতে হবে। এছাড়া যারা চূড়ান্তভাবে চাকরি পাবেন তাদের দ্বিতীয় বার আবার টাইপিং পরীক্ষা দিতে হবে।
পরবর্তী পরীক্ষায় যারা পাশ করবেন তারা ইনক্রিমেন্ট পাবেন। #বেতনক্রম ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী- অডিটর পদে বেতন পাবেন ১২৫০০-৩০২৩০ টাকা, এবং জুনিয়র অডিটর পদে ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা।
#প্রমোশনঃ কিছুটা স্লো। শূণ্য পদ খালি থাকা স্বাপেক্ষে প্রমোশন হয়। এই চাকরির ভবিষ্যৎ আর দশটা সরকারি চাকরির মতোই! সিএজি(Controller General of Accounts-হিসাব মহা নিয়ন্ত্রক এর কার্যালয়) অডিট অফিসে বিভাগ পরিবর্তন করে যাওয়া যায়, তবে তা বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ! তবে তার থেকে সহজ যদি আপনি এসএএস পাস করতে পারেন(অডিটের একটি কোর্স, পার্ট ১ ও পার্ট ২ আছে। পরীক্ষার সারকুলার হয়)। এতে করে সহজেই সিএজি অফিসে বদলি হয়ে যাওয়া যায়!
#এই_পেশায়_কাজের_ধরণঃ অডিটরের মূল কাজ নিরীক্ষা করা! বিল, ভাউচার নিরীক্ষা করাই মূল কাজ। এর বাইরে আইন ও নিয়ম-কানুন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহন /প্রদান/প্রস্তাব উত্থাপন করা অডিটরের কাজ!
Discussion about this post