গত ৬ নভেম্বর ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অনুষ্ঠিত ৫ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (আইটি) এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের অ্যাসিসট্যান্ট ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসার (আইটি) পদের পরীক্ষা ১৩ নভেম্বর (শনিবার) এবং অ্যাসিসট্যান্ট ডাটাবেস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা ২০ নভেম্বর (শনিবার) অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে ৬ নভেম্বর দুপুর তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী। পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীদের অনেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তুললেও প্রথমে তা নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তবে ৫ ব্যাংকের ওই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে ১০ জনকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
তাদের আটকের পর ১০ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, সরকারি ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আহছানউল্লা ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশ্নফাঁস হয়েছে।
পরপর চারটি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে চক্রটি চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান হাফিজ আক্তার।
এরপর বিষয়টি আমলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ঘটনার পর আহছানউল্লা ইউনির্ভাসিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলোজির কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এরপর বহিস্কার করা হয় আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটির একজন কর্মকর্তা ও দুইজন কর্মচারীকে।
ওই চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা এবং রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে বরখাস্তও করা হয়েছে। গুরুতর অপরাধ করায় ওই কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক দুটির একাধিক দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
Discussion about this post